চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে জনতার বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ। যেখানে স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, এদিন ধলই ইউপি চেয়ারম্যান আবুল মনসুর কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ হাটহাজারী ও রাউজান থানায় চারটি মামলা রয়েছে। বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় জেলা গোয়েন্দা ও থানা-পুলিশ। তবে এ সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দেন।

একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল আলমের ওপর চড়াও হন তাঁরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে সাজিদুল আলমসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মুহাম্মদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারে স্থানীয় বাসিন্দার বাধার মুখে পড়লেও গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষে ডিবি পুলিশের এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওই চেয়ারম্যানকে আইনগতভাবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ