Samakal:
2025-09-18@14:07:00 GMT

ব্যয়ের বোঝায় অনাগ্রহী গ্রাহক

Published: 6th, February 2025 GMT

ব্যয়ের বোঝায় অনাগ্রহী গ্রাহক

চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগগুলো পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। মূলত গ্যাসের অপচয় ও চুরি বন্ধে প্রিপেইড মিটারগুলো বসানো হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের ভয়ে গ্রাহকদের একটি অংশ এই প্রিপেইড মিটার বসাতে আগ্রহী নন। 

কেজিডিসিএল কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিনামূল্যে মিটার দেওয়া হলেও তিন কারণে প্রিপেইড মিটারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। প্রিপেইড মিটার বসাতে গেলে বাসাবাড়ির বাইরে থাকা রাইজার থেকে প্রতি চুলায় সংযোগ নিতে পাইপ-ফিটিংসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামে গ্রাহককে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আবার প্রিপেইড মিটার লাগালে সিলিং করা গ্যাসের চেয়ে বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া এক চুলার গ্যাস কয়েক পরিবারে ব্যবহার করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ভয় এবং যখন-তখন গ্যাস ফুরালে প্রিপেইড কার্ড সংগ্রহ ও ইনস্টল করাকে বাড়তি ঝামেলা বলে মনে করছেন তারা।

কেজিডিসিএলের একটি প্রকল্পের আওতায় এখন নগরী ও জেলায় এক লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। ২০২১ সালের ১৮ মে আবাসিক সংযোগে এসব মিটার স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মিটার বসানো হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। অন্য গ্রাহকরা মিটার বসাতে গড়িমসি করছেন। মিটার নিয়ে ফিরে আসছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ জন্য তাদের চিঠি দিয়ে, মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে মিটার বসানোর কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হার্ডলাইনে গিয়ে মিটার না বসালে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী এই সংস্থা।

নগরীর বাকলিয়া এলাকার এক ভবন মালিক বলেন, আমার ছয় তলা ভবনে ১২ পরিবার ভাড়াটিয়া রয়েছে। ফলে আমাকে ১২টি প্রিপেইড মিটার নিতে হবে। এতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু ভাড়াটিয়া থেকে তো আমি সেই টাকা নিতে পারছি না। এ জন্য প্রিপেইড মিটার নিতে চাইছি না।

‘ইন্সটলেশন অব প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর কেজিডিসিএল’ প্রকল্পের পরিচালক ও কেজিডিসিএলের উপব্যবস্থাপক মো.

নাহিদ আলম সমকালকে বলেন, একটি চুলার জন্য মাসে ৮০ ঘনমিটার গ্যাস বরাদ্দ থাকে। যার দাম ১ হাজার ৮০ টাকা। অনেক এলাকায়, বিশেষ করে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা অধ্যুষিত এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভবন মালিক কয়েকটি পরিবারের জন্য হয়তো দেখা গেল একটি চুলা রেখেছেন। সেই চুলা সারাদিন জ্বলতে থাকে। আবার অনেক বড় পরিবার রয়েছে, যাদের বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রিপেইড মিটার হলে তাদের সমস্যা। এ কারণে অনেকেই অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। জুনের মধ্যে যেহেতু প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। তাই এ সময়ের মধ্যে প্রিপেইড মিটার লাগানো না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।

কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স বিভাগ) প্রকৌশলী সৈয়দ আবু নসর মো. সালেহ বলেন, একটি ভবনে বেশ কিছু গ্যাসের সংযোগ থাকে। এসব সংযোগকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসতে হলে সেই ভবন মালিককে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু সুবিধা পাচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা। এ কারণে ভবন মালিকরা বাড়তি খরচ এড়াতে প্রিপেইড মিটারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

কেজিডিসিএলের আওতায় সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ রয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। অবশিষ্ট সংযোগগুলো শিল্প-বাণিজ্যিকসহ অন্য খাতের। এর মধ্যে ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রকল্পে’র মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ ড স এল র প রকল প র ভবন ম ল ক র আওত য় গ র হক পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বন্দর উপজেলা কমিটি গঠন

বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যালয় বোর্ড ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (দিদার-অদুদ), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।

কমিটি গঠনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও বন্দর উপজেলার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের (দিদার-অদুদ) কেন্দ্রীয় মহাসচিব কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাব এডিটর মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে সম্প্রতি বন্দর উপজেলা সভাপতি ও কলরব মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক হাসান কবির, সহ সভাপতি ও সালাহউদ্দিন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শারমীন ফারজানা, সহ-সভাপতি ও স্টাডি কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু ছারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক ও সুলতানা মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক  আইরিন সুলতানা এসময় মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানান। মহাসচিবও উত্তরীয় পরিয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, অচিরেই আমাদের বোর্ড ও এসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পাঠ্যবই হবে এবং একই সিলেবাসের আলোকে বৃত্তি ও স্কুলের একাডেমিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারি সরকার কিন্ডারগার্টেনের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। ফলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কী পরিণতি হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আমরা এই সরকারকে বলব, আমাদের সাথে বসে নিবন্ধনের জন্য আরোপিত শর্তগুলো সহজ করে ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেনকে নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নিন।

নইলে আরোপিত সকল শর্ত মেনে দেশের সিংহভাগ স্কুলই নিবন্ধন করতে পারবে না। তিনি বিদ্যমান অবস্থায় লেখাপড়ার মানোন্নয়নে প্রতিটি কিন্ডারগার্টেনকে ১ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন বরাদ্দ দেয়ার দাবি করেন।

আলোচনা শেষে কমিটির তালিকা হস্তান্তর হয় এবং উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় হয় এবং অক্টোবরে মাসে অভিষেক ও এ মাসের মধ্যেই লেখাপড়ার মানোন্নয়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (দিদার-অদুদ), নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ সভাপতি ও প্রাইম কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক জনাব মো. সিদ্দিকুর রহমান, বন্দর উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও হাজী আলী হোসেন আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক  মো. ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আল-আরাফাহ ইসলামি কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (প্রধান শিক্ষক) মাহবুব আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁনপুর আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলমগীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও কদম রসুল আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তার, নির্বাহী সদস্য ও তাকওয়া মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সানজিদা আক্তার, নির্বাহী সদস্য ও এডুকেয়ার কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আমেনা আক্তার প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ