Samakal:
2025-06-16@08:37:30 GMT

ব্যয়ের বোঝায় অনাগ্রহী গ্রাহক

Published: 6th, February 2025 GMT

ব্যয়ের বোঝায় অনাগ্রহী গ্রাহক

চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগগুলো পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। মূলত গ্যাসের অপচয় ও চুরি বন্ধে প্রিপেইড মিটারগুলো বসানো হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের ভয়ে গ্রাহকদের একটি অংশ এই প্রিপেইড মিটার বসাতে আগ্রহী নন। 

কেজিডিসিএল কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিনামূল্যে মিটার দেওয়া হলেও তিন কারণে প্রিপেইড মিটারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। প্রিপেইড মিটার বসাতে গেলে বাসাবাড়ির বাইরে থাকা রাইজার থেকে প্রতি চুলায় সংযোগ নিতে পাইপ-ফিটিংসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামে গ্রাহককে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আবার প্রিপেইড মিটার লাগালে সিলিং করা গ্যাসের চেয়ে বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া এক চুলার গ্যাস কয়েক পরিবারে ব্যবহার করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ভয় এবং যখন-তখন গ্যাস ফুরালে প্রিপেইড কার্ড সংগ্রহ ও ইনস্টল করাকে বাড়তি ঝামেলা বলে মনে করছেন তারা।

কেজিডিসিএলের একটি প্রকল্পের আওতায় এখন নগরী ও জেলায় এক লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। ২০২১ সালের ১৮ মে আবাসিক সংযোগে এসব মিটার স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মিটার বসানো হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। অন্য গ্রাহকরা মিটার বসাতে গড়িমসি করছেন। মিটার নিয়ে ফিরে আসছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ জন্য তাদের চিঠি দিয়ে, মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে মিটার বসানোর কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হার্ডলাইনে গিয়ে মিটার না বসালে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী এই সংস্থা।

নগরীর বাকলিয়া এলাকার এক ভবন মালিক বলেন, আমার ছয় তলা ভবনে ১২ পরিবার ভাড়াটিয়া রয়েছে। ফলে আমাকে ১২টি প্রিপেইড মিটার নিতে হবে। এতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু ভাড়াটিয়া থেকে তো আমি সেই টাকা নিতে পারছি না। এ জন্য প্রিপেইড মিটার নিতে চাইছি না।

‘ইন্সটলেশন অব প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর কেজিডিসিএল’ প্রকল্পের পরিচালক ও কেজিডিসিএলের উপব্যবস্থাপক মো.

নাহিদ আলম সমকালকে বলেন, একটি চুলার জন্য মাসে ৮০ ঘনমিটার গ্যাস বরাদ্দ থাকে। যার দাম ১ হাজার ৮০ টাকা। অনেক এলাকায়, বিশেষ করে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা অধ্যুষিত এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভবন মালিক কয়েকটি পরিবারের জন্য হয়তো দেখা গেল একটি চুলা রেখেছেন। সেই চুলা সারাদিন জ্বলতে থাকে। আবার অনেক বড় পরিবার রয়েছে, যাদের বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রিপেইড মিটার হলে তাদের সমস্যা। এ কারণে অনেকেই অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। জুনের মধ্যে যেহেতু প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। তাই এ সময়ের মধ্যে প্রিপেইড মিটার লাগানো না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।

কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স বিভাগ) প্রকৌশলী সৈয়দ আবু নসর মো. সালেহ বলেন, একটি ভবনে বেশ কিছু গ্যাসের সংযোগ থাকে। এসব সংযোগকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসতে হলে সেই ভবন মালিককে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু সুবিধা পাচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা। এ কারণে ভবন মালিকরা বাড়তি খরচ এড়াতে প্রিপেইড মিটারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

কেজিডিসিএলের আওতায় সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ রয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। অবশিষ্ট সংযোগগুলো শিল্প-বাণিজ্যিকসহ অন্য খাতের। এর মধ্যে ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রকল্পে’র মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ ড স এল র প রকল প র ভবন ম ল ক র আওত য় গ র হক পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের সার্কেল টু সার্চে আসছে নতুন দুই সুবিধা

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে দ্রুত নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে দিতে গত বছর ‘সার্কেল টু সার্চ’-সুবিধা চালু করে গুগল। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফোনে ভিডিও দেখার সময় বিভিন্ন দৃশ্যে থাকা পণ্যের ছবি নির্বাচন করে সে বিষয়ে সরাসরি গুগলে সার্চের ফলাফল জানা যায়। অর্থাৎ ভিডিওতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির চশমা সার্কেল করলে নিচে চশমাটি-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুগল সার্চের মাধ্যমে দেখার সুযোগ মিলে থাকে। ব্যবহারকারীদের দ্রুত বিভিন্ন তথ্য জানার সুযোগ দিতে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।

জানা গেছে, গুগল অ্যাপের সর্বশেষ বেটা সংস্করণ বিশ্লেষণ করে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্তের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। গানের তালিকা সংরক্ষণ এবং অনুবাদপ্রক্রিয়া আরও সহজ করতে সক্ষম সুবিধাগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত না হলেও পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করছে।

সার্কেল টু সার্চ ব্যবহার করে গান শনাক্তের সময় পর্দায় বর্তমানে একটি ছোট মিউজিক আইকন দেখা যায়। কিন্তু নতুন সুবিধাগুলো চালু হলে মিউজিক আইকনে যুক্ত হবে একটি অতিরিক্ত বাটন, যা দেখতে অনেকটা ঘড়ির মতো। এই নতুন আইকনের মাধ্যমে সরাসরি প্রবেশ করা যাবে ‘রিসেন্ট সং সার্চ’ নামের একটি মেনুতে। ফলে ব্যবহারকারী সহজেই আগে শনাক্ত করা গানের তালিকা দেখতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এখানে গানের শিরোনাম, শিল্পীর নাম এবং অ্যালবামের ছবিও দেখা যাবে।

সার্কেল টু সার্চের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে অনুবাদ সুবিধায়। বর্তমানে কোনো লেখাকে চিহ্নিত করার পর তা অনুবাদ করতে চাইলে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে হয়। নতুন সুবিধা চালু হলে সার্কেল টু সার্চে কোনো লেখা ট্যাপ করলেই সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদের বাটন পর্দায় দেখা যাবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ