যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। যোগাযোগ দক্ষতা, ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় আশাবাদী থাকা এবং আমেরিকার সম্ভাবনার ওপর অবিচল বিশ্বাসের কারণেও তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা

১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে জন্ম হয় রোনাল্ড উইলসন রিগ্যানের। বাবা জন এডওয়ার্ড রিগ্যান ও মা নেলি উইলসন রিগ্যান। কয়েকবার আবাস বদলের পর ১৯২০ সালে অঙ্গরাজ্যের ডিক্সনে থিতু হয় রিগ্যান পরিবার।

স্কুল ও কলেজজীবনে দারুণ অ্যাথলেট ছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। ভালো ফুটবল খেলতেন, ছিলেন দৌড়বিদ ও সাঁতারু। ১৯৩২ সালে খেলাধুলার ধারাভাষ্যকার হিসেবে একটি রেডিওতে যোগ দেন।

১৯৩৭ সালে অভিনয়জগতে নাম লেখান রিগ্যান। তিনি ৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনেও কাজ করেছেন।

সিনেমাজগৎ থেকে হোয়াইট হাউসে যাত্রা

১৯৩৭ সালে হলিউডে অভিনয়জগতে নাম লেখান রিগ্যান। পরের তিন দশকে তিনি ৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। কাজ করেছেন টেলিভিশনেও।
রিগ্যানের অভিনয় করা জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর অন্যতম ‘নুট রকনে: অল আমেরিকান’। ১৯৪০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি একটি বায়োপিক। আমেরিকার একজন ফুটবলারের জীবনের ওপর তৈরি করা।

১৯৪২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কিংস রো’–তে রিগ্যানের অভিনয়ও দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তিনি ওই সিনেমায় দুর্ঘটনায় পা হারানো এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত রিগ্যান স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি টেলিভিশন সিরিজেও কাজ করেছেন।

১৯৬৪ সালে মুক্তি পাওয়া বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য কিলার্স’–এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রিগ্যানের অভিনয়জীবনের শেষ সিনেমা।

২০০৩ সালে ওয়াশিংটনে একটি আদালতে হাজিরা দিতে এসেছেন জন হিঙ্কলি জুনিয়র। তিনি রোনাল্ড রিগ্যানকে গুলি করেছিলেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ