রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও স্বাচিপ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর
Published: 6th, February 2025 GMT
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও আওয়ামী–সমর্থিত সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’-এর (স্বাচিপ) রাজশাহী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নওশাদ আলীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাঁড়রা গ্রামে ওই বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালান ৪০ থেকে ৫০ জন।
উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের মাইপাড়া বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে ভাঁড়রা গ্রামের অবস্থান। সেখানে নওশাদের বাড়িতে সপরিবার থাকেন তাঁর ভাগনে ফয়সাল মোহাম্মদ রুবেল।
ফয়সাল জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে গেট ভাঙার শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। হামলাকারী ব্যক্তিরা হেমার দিয়ে বাইরের গেট ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। তাঁরা দোতলা বাসার নিচতলাতেই ছিলেন। হামলাকারী ব্যক্তিরা ভেতরে ঢুকে তাঁদের বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। প্রাণের ভয়ে দুই শিশুসন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে বাইরে চলে আসেন তিনি। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হামলাকারী ব্যক্তিরা বাসার সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এরপর শব্দ বন্ধ হলে তাঁরা বাসার দিকে ফিরে যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঁড়রা গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মেঝেতে পা ফেলার মতো অবস্থা নেই। সব জায়গায় আসবাব ও অন্য জিনিসপত্রের ভাঙা টুকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। হামলাকারী ব্যক্তিরা প্রতিটি বাথরুমে ঢুকে ফিটিংসগুলো ভেঙে ফেলেছেন। প্রতিটি জানালার থাই গ্লাস ভাঙা অবস্থায় মেঝেতে ছড়িয়ে আছে।
বিছানাপত্রসহ অন্য আসবাবপত্র ভেঙে–চুরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা হয়েছে মেঝেতে।
এ ব্যাপারে জানতে চিকিৎসক নওশাদ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কারা এ হামলা চালিয়েছেন, জানতে চাইলে ফয়সাল বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিদের সবারই মুখ ঢাকা ছিল, ফলে কাউকে চিনতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন আজ বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি কোনো খবরও দেয়নি। পুলিশ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে একইভাবে উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা যুব আওয়ামী লীগের সভাপতি মৌসুমী রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দিনের বেলায় ওই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও কিছু জানে না বলে জানিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
শামা ওবায়েদ