Samakal:
2025-05-01@03:55:16 GMT

নজর কাড়ছে নান্দনিক স্টল

Published: 7th, February 2025 GMT

নজর কাড়ছে নান্দনিক স্টল

কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ ও হুমায়ূন আহমেদ একটি টেবিলে বসে আছেন। এ রকম দুটি বিশাল ক্যানভাস একত্র করে রওশন হাবীব ও শান্ত আহমেদের আঁকা পেইন্টিং ঝুলছে দাঁড়িকমা প্রকাশনীর স্টলে। এ ছাড়া স্টলের ব্যানার ও দেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাল-হলুদ রঙে আঁকা জুলাই আন্দোলনের স্লোগান।

এবারের বইমেলায় এমন নান্দনিক স্টল দেখা গেছে বেশ কয়েকটি। পাঠকরা ঘুরে ঘুরে পছন্দসই বই খুঁজছেন, আর নান্দনিক স্টল পেলে দাঁড়িয়ে দেখছেন। অনেকে স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন। সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন।

এমন এক নান্দনিক স্টল তৈরি করেছে বাতিঘর। এখানে পাঠকের ভিড় দেখা গেছে। বই কিনছে কেউ, কেউ স্টলের বাইরে ও ভেতরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, বাতিঘরের মূল ভবনের মতো করে বানানো এই স্টলে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে থাকে সবসময়। বিশেষত সন্ধ্যার দিকে সব আলো জ্বলে ওঠার পর স্টলটির সৌন্দর্য বাড়ে। এজন্য বইয়ের পাশাপাশি ছবি তুলতে আগ্রহী হন পাঠক।

অন্যদিকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্টল ভ্রাম্যমাণ বইয়ের গাড়ির আদলে তৈরি। কেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার সঞ্জয় পাণ্ডে জানান, নকশাবিদ সঞ্জীব কুমার সাহা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সম্পর্কে তাঁর চিন্তার বহিঃপ্রকাশ থেকে বেশ কয়েকটি নকশা তৈরি করেন। এখান থেকে একটি নির্বাচন করেছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। কেননা, ভ্রাম্যমাণ বইয়ের গাড়ির পাশাপাশি সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার কার্যক্রম চলছে।

সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি স্টল আকাশ প্রকাশনীর। বাঙালিয়ানার লোকজ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস থেকে এবারের স্টল তৈরি করেছেন বলে জানান মালিক আলমগীর সিকদার লোটন।

মেলা ঘুরে দেখা যায় অয়ন প্রকাশনী তাদের বইভিত্তিক বিভিন্ন কাটআউট ছোট ছোট করে তৈরি করে স্টলের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছে। আবার পুঁথিনিলয়ের স্টলের চারটি পিলারের জায়গায় রয়েছে বইয়ের কাটআউট। এ ছাড়া মাথার ওপরে বিশাল এক বইয়ের আকৃতির কাটআউট। যেন সবাইকে জ্ঞানের ছায়াতলে নিয়ে আসার জন্য বদ্ধপরিকর।

এ রকম আরও বিভিন্ন ধরনের চিন্তার বহিঃপ্রকাশসমৃদ্ধ স্টল দেখা গেছে বইমেলায়। কেউ তাদের লোগো তুলে এনেছে স্টলে, আবার কেউ বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি। তবে বড় স্টলগুলোতে বই দেখা ও কেনার পাশাপাশি পাঠকদের ছবি তুলতে দেখা গেছে।

জুলাই মঞ্চ

গতকাল থেকে মেলার ষষ্ঠ দিনে শুরু হয় ‘জুলাইয়ের গল্প’ শীর্ষক একটি নতুন কার্যক্রম। জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪-এর নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান। গতকাল অতিথি হিসেবে কথা বলেন নিহত আনাসের বাবা ও মা। সঞ্চালনায় ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেল সম্পাদক হাসান ইমাম।

নতুন বই

মেলায় গতকাল নতুন বই আসে ৮০টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নবান্ন প্রকাশনীর সফিকুল ইসলামের গল্পগ্রন্থ দৈত্য পাহাড়ের পিশাচ, কথাপ্রকাশের মফিজুর রহমান রুননুর সংস্কৃতিবিষয়ক গ্রন্থ বাঙালির ধর্ম সংস্কৃতি ও জাতীয়তার সংকট, শিরনী পাবলিকেশন্সের ড.

মুহাম্মাদ সিদ্দিকের ইতিহাসবিষয়ক গ্রন্থ স্পেন-পর্তুগালে মুসলিম অবদান ও তার প্রতিদান, অন্যপ্রকাশের মালেক মুস্তাকিমের কাব্যগ্রন্থ আধেক জীবন আধেক ধুলো, ঐকতান প্রকাশনীর আ হ ম আসাদুজ্জামানের কাব্যগ্রন্থ সেই তুমি ফিরে এলে।

মেলামঞ্চ

গতকাল মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: মাহবুবুল হক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। সৈয়দ আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারিক মনজুর। আলোচনায় অংশ নেন মাহবুব বোরহান ও মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

প্রাবন্ধিক বলেন, মাহবুবুল হক বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিজ্ঞানী। বাংলা ভাষার ব্যাকরণ প্রণয়ন এবং বাংলা বানান সংস্কারে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।  ভাষা ও ব্যাকরণের অনেক জটিল বিষয়কে সরল ও পরিচ্ছন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, মাহবুবুল হক বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে নিবেদিত ছিলেন।

লেখক বলছি মঞ্চে আলোচনা করেন কবি টোকন ঠাকুর ও জাকির আবু জাফর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি সাখাওয়াত টিপু ও জব্বার আল নাঈম। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আজগর আলীম, সৈয়দ আশিকুর রহমান প্রমুখ।

সময় পরিবর্তন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলা বেলা ১১টার পরিবর্তে শুরু হবে দুপুর ২টায়। এই দুই দিন মেলায় থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহর।

আজ প্রথম শিশুপ্রহর

আজ বইমেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় ও চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এটি উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল কর ছ ন বইম ল বইয় র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’

‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ