শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান। সেটিও উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ও গ্রাহাম ক্লার্ক থাকার পরও। তাতেই কাল বিপিএল ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২০০ রানের গণ্ডি পার হতে পারেনি চিটাগং কিংস।

অথচ উদ্বোধনী জুটিতেই খাজা নাফি ও পারভেজ তুলেছিলেন ৭৬ বলে ১২১ রান। কিছু রান কম হলেও ফাইনালে ১৯৪ রান বড় স্কোরই। বিপিএলে এর আগে ফাইনালে এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। ফাইনালে বড় সংগ্রহ তুলেও ঠিক কোথায় হেরে গেল চিটাগং?

বল হাতে ভালো শুরু করতে না পারা হতে পারে একটি কারণ। ইনিংসের ৭ ওভারের মধ্যে মাত্র ২৪ বলেই যে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল করেন ফিফটি। চিটাগং পেসার খালেদ আহমেদ ওই সময়ে তাঁকে পরিকল্পনামতো বল করতে না পারার আফসোস করছেন, ‘পাওয়ার প্লেতে তামিম ভাইকে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারিনি। মুখের ওপর বল দিয়ে ফেলেছি। এটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। পাওয়ার প্লেতে আরেকটু ভালো বল করলে হয়তো ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকত।’

৪ উইকেটে ৩৪কাল বিপিএল ফাইনালে শরীফুল ইসলাম

তবু অবশ্য শেষ দিকে নতুন করে আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন শরীফুল ইসলাম। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এক বলের ব্যবধানে তিনি ফেরান ২৮ বলে ৪৬ রান করা কাইল মায়ার্স ও ১১ বলে ৭ রান করা মাহমুদউল্লাহকে। এই ওভার জয়ের বিশ্বাস এনে দেয় খালদকে, ‘মায়ার্স যখন আউট হয়েছে, আমি শরীফুলকে বলছিলাম যে “তুই ম্যাচ জিতাবি।” আরেকটা উইকেট নিলে.

..এক বল পরই রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাইকে আউট করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস চলে আসছিল যে ম্যাচটা জিতে যাব। ওখানে কিছু ভুল হয়ে গেছে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারিনি। শুরুতেই ভুল হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুনতানজিদ তামিমের ‘উদীয়মান ক্রিকেটার পুরস্কার’ নিয়ে কৌতূহল১ ঘণ্টা আগে

আগের ম্যাচে শেষ বলে ৪ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ব্যাট হাতে চিটাগংকে জিতিয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। আর বল হাতে তো পুরো টুর্নামেন্টেই ছিলেন দুর্দান্ত। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় পাওয়া চোট তাকে খেলতি দেয়নি ফাইনালে।

খালেদ আহমেদ নিজেও ফাইনালে তেমন কিছু করতে পারেননি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ