হবিগঞ্জের মাধবপুরে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান সায়হাম গ্রুপের আয়োজনে মেধাবৃত্তি প্রদান ও কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে এই মেধাবৃত্তি প্রদান ও কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধনা সভায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৭৭ জন কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএম ফয়সল মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি এস এম শাহজাহান। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন এস এম ফয়সল মেধাবৃত্তির প্রধান পৃষ্টপোষক সৈয়দ মো.

ফয়সল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আল আমিন, সায়হাম কটন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মো. ইশতিয়াক আহমেদ, সায়হাম নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাফকাত আহমেদ ও সায়হাম গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ এবিএম হুমায়ুন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সমকালের উপসম্পাদক মাহবুব আজীজ, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ বিন কাসেম, হবিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক, শিক্ষক সৈয়দ আছাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ আমির হোসেন, অধ্যক্ষ জাহির উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্টপোষক সৈয়দ মো. ফয়সল বলেন, ‘আমরা মেধার লালন করতে চাই। মেধাবীরা দেশের সম্পদ। তারা যাতে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে আমরা এ সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সায়হাম গ্রুপের পক্ষ থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সামাজিক কাজ করে মানুষের কল্যাণ করে যেতে চাই।’

সৈয়দ ঈশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘মাধবপুরের মাটির সঙ্গে আমাদের ৮০ বছরের সম্পর্ক। এখানকার ছেলেমেয়ে যাতে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা পায় তার জন্য আমরা তাদের পাশে থাকব সবসময়। তবে সবার আগে শিক্ষার্থীদেরকে দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। সুন্দর আলোকিত মানুষ হতে হবে।’

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে ১৯৫২, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালকে চেতনায় জাগ্রত রাখতে হবে। সায়হাম গ্রুপ মাধবপুরে যে আলোকবর্তিকা সৃষ্টি করেছে সে আলো আজীবন জ্বলজ্বল করে জলবে।’ তিনি বলেন, ‘সায়হাম গ্রুপের কর্ণধার যারা আছেন তারা বিদেশে টাকা পাচার করেনি, বরং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ধবপ র ম ধবপ র

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা