ডিআইজি মোল্যা নজরুলসহ পুলিশের চার কর্মকর্তা আটক
Published: 8th, February 2025 GMT
রাজশাহীর সরদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো.
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যদের ধরে আলোচিত হয়েছিলেন মোল্যা নজরুল ইসলাম। পরে ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে কয়েক মাস গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মোল্যা নজরুল ইসলামকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়। তখন থেকে সেখানে ছিলেন তিনি।
মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে জানতে পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাঁদের কেউ তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
এ ছাড়া তিন পুলিশ সুপারকে আটকের বিষয়েও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে এই তিন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। এই কর্মকর্তারা হলেন নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুমিল্লা ও সিলেটের সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ড আইজ
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়াকে আমরা সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: ফরহাদ মজহার
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, “লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের চলে যাওয়ার ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তিনি একটা ধারা তৈরি করে দিয়েছেন। যেই ধারা থেকে আমরা গড়ে উঠেছি।”
তিনি বলেন, “ফরিদা পারভীনের চলে যাওয়া কুষ্টিয়াবাসীর জন্য সত্যিকার অর্থেই দুঃখের দিন। কুষ্টিয়াকে সত্যিকার অর্থেই আমরা সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এটা হবে উপমহাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক নগরী। সেই ভিত্তিটা ফরিদা পারভীন তৈরি করে গেছেন।”
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে শিল্পী ফরিদা পারভীনের দাফন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ফরহাদ মাজহার বলেন, “ফরিদা পারভীনকে শুধু শিল্পী বললে অন্যায় হবে। তার অবদান শিল্পী হিসেবে নয়, তিনি ফকির লালন শাহকে পরিচিত করেছেন সারা বাংলাদেশে, এই উপমহাদেশে এবং বিশ্বে। আগে আমরা একজন ফকির সম্পর্কে জানতাম, তার গান পল্লীগীতি হিসেবে শুনতাম।”
তিনি বলেন, “আব্দুল আলীম পল্লীগীতি হিসেবে তার গানগুলো গাইতেন, আমরাও সেভাবেই শুনতাম। ফরিদা যখন গাইলেন, প্রথম বুঝলাম, আমরা একজন সাধকের গান শুনছি। বাংলার ভাবজগতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষের চমৎকার গান শুনছি। এই কাজটা ফরিদা করেছেন, তিনিই প্রথম করেছেন। প্রথম যিনি করেন, তার অবদানটা অসামান্য হয়।”
ফরিদা পারভীনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থানের খাদেম নুরু। তিনি বলেন, “শিল্পী ফরিদা পারভীনের বাবা কুষ্টিয়া হাসপাতালে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে ছোটবেলায় তিনি কুষ্টিয়ায় বেড়ে উঠেছেন। আমরা একই এলাকার মানুষ ছিলাম। ছোটবেলায় আমরা ফরিদা পারভীনের সঙ্গে খেলাধুলা করতাম। সমবয়সী হওয়ায় আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বড় হওয়ার পর তিনি কুষ্টিয়ার বাইরে চলে যান, এজন্য যোগাযোগ ছিল না। তবে, দেখা হলে আমাদের কথা হতো।’
শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
ফরিদা পারভীনের জন্ম নাটোরে হলেও শৈশব-কৈশোরের অনেকটা সময়ই কেটেছে কুষ্টিয়ায়। এছাড়া, লালনের গান করায় শিল্পীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শহরটিতে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ