তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করার সঙ্গে তাদের উদ্ভাবনী সব ধারণা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট স্টার্টআপ গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম। যার আয়োজক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প’।

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের জন্য এটি দেশের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত।

আইডিয়া প্রকল্পের এ আয়োজন তারুণ্যের শক্তিকে উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে উৎসাহিত করবে। তরুণ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও শিক্ষার্থীদের একত্র করে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট স্টার্টআপ গ্র্যান্ট প্রোগ্রামে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্ভাবনী সব ধারণার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অনুদান গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। সামিটে অংশগ্রহণে আগ্রহী স্টার্টআপদের জন্য আবেদন গ্রহণ শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি বিভাগের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টিভেশন ক্যাম্পেইন। যার মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থী, উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা সরাসরি ন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট স্টার্টআপ গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম বিষয়ে সব ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। ক্যাম্পেইনে আবেদন প্রক্রিয়া ও কার্যক্রম বিষয়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের অবহিত করা হবে।

 কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু, পোশাকশিল্প, লজিস্টিকস, ফিনটেক, আইটি, ই-কমার্সসহ প্রায় সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রি ক্যাটেগরিতে উদ্ভাবক ও স্টার্টআপরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। দেশের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারকদের মাধ্যমে আবেদনকারী স্টার্টআপদের যাচাই-বাছাই ও পিচিং শেষে অনুদানপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে সম্মেলনে। আগ্রহীরা www.

idea.gov.bd সাইটে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

সম্মেলনে আইডিয়া পোর্টফোলিও স্টার্টআপ প্রদর্শনী হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা সেখানে তাদের উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবেন। নতুন প্রজন্মকে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করতে আইডিয়া প্রকল্পের অনুদানপ্রাপ্ত সফল স্টার্টআপদের গল্প উপস্থাপন করা হবে। ‘বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গঠনে আইডিয়া প্রকল্পের ভূমিকা’ শিরোনামে সেমিনার আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, শিক্ষার্থী, উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের একত্র করার এটি জাতীয় উদ্যোগ। তরুণদের শক্তি ও উদ্ভাবনকে সারাবিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা হবে। এমন উদ্যোগ তরুণদের সক্ষমতাকে বৈশ্বিক পরিসরে উপস্থাপন করতে সহায়ক হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প আইড য় গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা

নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে আবারও আলো ছড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথভাবে ঘোষণা করেছে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর তালিকা। ১২ জুন শুরু হয়ে এই ক্রিকেট উৎসব চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত, যার সমাপ্তি ঘটবে ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমকালো ফাইনালের মাধ্যমে।

এই আসরে প্রথমবারের মতো ১২টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩৩টি ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২৪ দিনের রোমাঞ্চকর এক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে।

টুর্নামেন্টের সূচি উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লর্ডসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।  
 
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সাতটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভেন্যুতে— লর্ডস (লন্ডন), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার), হেডিংলি (লিডস), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), হ্যাম্পশায়ার বোল (সাউদাম্পটন), দ্য ওভাল (লন্ডন) এবং ব্রিস্টল।

আরো পড়ুন:

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা 

অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার 

আগামী আসরে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল: স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি চারটি দল আসবে কোয়ালিফায়ার পর্ব পেরিয়ে, যেখানে বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দলকে লড়াই করতে হবে মূলপর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য।

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বার্তায় জানান, “২০১৭ সালে নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যে অধ্যায় লর্ডসে রচিত হয়েছিল, এবার আমরা সেই আবহে ফিরে যেতে চাই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড বলেন, “আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি। নারী ক্রিকেটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর লর্ডসে ফাইনাল আয়োজন—এটা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের এক সম্ভাবনা।”

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ