বিপিএলে তামিমের কিছু সংস্কার প্রস্তাব
Published: 9th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র হয়েও এখন তিনি ‘বরিশাইল্লা’! ফরচুন বরিশালকে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন করার পর সংবাদ সম্মেলনে মজার আড্ডায় তামিম নিজেই হেসে যোগ দিয়েছিলেন। ‘চিটাগং নেয় না তো আমাকে... আমি কী করব বলেন।’
তামিমকে ঘিরে ফরচুন বরিশালের যে সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, সেটা অন্য দলে সেভাবে এখনও গড়ে ওঠেনি। বিপিএলের পেশাদার ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বরিশাল ও রংপুর বাদে কেউ সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। ঠিক এখানেই আইপিএলের সঙ্গে বিপিএলের বড় একটা পার্থক্য রয়েছে বলে মনে করেন তামিম। ১৩ বছরের আসরের শহরভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা বদলেছে অনেকবার। যে কারণে নামও বদলেছে বহু, যা নিয়ে প্রায় প্রতিবারই বিভ্রান্তিতে পড়েন দর্শকরা। আর এমন বিভ্রান্তি নিয়ে আর যাই হোক ‘ফ্যানবেইজ’ তৈরি হয় না। আর এখানেই বিপিএলের একটা নিয়ম বদলানোর সুপারিশ তামিমের।
আগের দুই আসরের নিয়ম ছিল আগের দল থেকে সর্বোচ্চ তিন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তামিম ইকবাল। ‘আপনি যদি মাত্র একজনকে ধরে রাখেন, তাহলে এতদিনে গড়া ফ্যানবেইজ শেষ হয়ে যাবে। তাই ৫-৬ বা ৪টা.
ক্রিকেটারদের রিটেন করা ছাড়াও মালিকানা পরিবর্তনের একটা বড় সুযোগ থাকছে আগামী আসরে। ২০২২ সালে তিন আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা দিয়েছিল বিসিবি, যা কিনা এই আসর দিয়েই শেষ হয়েছে। সামনের আসর থেকে পাঁচ বছরের জন্য নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেবে বিসিবি। সেখানে পরীক্ষিত পুরোনোরা চাইলে দল ধরে রাখতে পারবে। তবে এবার মালিকানা দেওয়ার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকবে বিসিবি। বারবার মালিকানা বদল যে বিপিএলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না, সেটা দর্শকরাও বুঝে নিয়েছেন।
তামিম নিজেও তাঁর কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ‘আইপিএলের উদাহরণ দিই আমরা। সেখানে নিয়ম কখনও পরিবর্তন হয় না। তাই মূল ক্রিকেটাররা একই দলে থেকে যায়। আমাদের যেটা সমস্যা হয়, মালিকপক্ষ বদলে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় চিটাগংয়ের কথা। সেখানে চিটাগংয়ের এবার এক মালিক, পরের বছর আরেক মালিক। কিন্তু এটাতেও দল তো একই থাকছে। ক্রিকেটারও একই থাকছে। তাই মালিক পরিবর্তন হোক বা না হোক, অন্য কেউ আসুক বা না আসুক, কেউ যদি চিটাগংয়ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে, তাহলে তাকে একই স্কোয়াডে ধরে রাখার অনুমতিটা রাখা উচিত।’ তামিম তাঁর এক যুগের বেশি বিপিএলের অভিজ্ঞতা থেকেই এই উপলব্ধি করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল ফ র য ঞ চ ইজ ব প এল র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।
শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”
এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”
ঢাকা/আবিদ/মেহেদী