এক নারী ভক্ত সঞ্জয় দত্তকে দান করেন ৭২ কোটি টাকার সম্পত্তি
Published: 9th, February 2025 GMT
বিনোদন ডেস্ক
১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। প্রথম ছবিই হিট। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৩৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছে তিনি। তাঁর একসময়ের ‘চকোলেট বয়’ ইমেজ বহু তরুণীর হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। সঞ্জয়ের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সম্প্রতি উঠে এসেছে সঞ্জয় দত্তের এমনই এক নারী ভক্তের কথা।
তিনি সঞ্জয়ের জন্য ঠিক কী করেছিলেন, জানলেও আপনিও অবাক হবেন। জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের একনিষ্ঠ ভক্ত নিশা পাতিল। সেটা ছিল ২০১৮ সাল। সেবছর পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পান সঞ্জয়।
জানতে পারেন, তাঁর মহিলা অনুরাগী নিশা, নিজের মৃত্যুর আগে অভিনেতার নামে তাঁর কোটি টাকার সম্পত্তি উইল করে গিয়েছেন। নিশা পাতিলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭২ কোটি টাকা। এমনকি তিনি ব্যাঙ্কগুলিকেও চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যাতে তাঁর সমস্ত কিছু সঞ্জয় দত্তকে দিয়ে দেওয়া হয়। শুধু আমি বা আপনারা নন, এমন ঘটনা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান খোদ সঞ্জয় দত্তও। তবে অভিনেতা নিশাকে চিনতেন না কোনওভাবেই তাই তিনি সেই সম্পত্তির দাবিও করেননি।
ঘটনায় সঞ্জয় জানিয়েছেন, তিনি এমন ঘটনায় অভিভূত। এও জানিয়েছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিশাকে চিনতেন না।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম সঞ্জয় দত্ত। ২০২৪ সালে তিনি দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতেও পা রেখেছেন। দক্ষিণী তারকা যশের ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ ও থলপতি বিজয়ের ‘লিও’তে অভিনয় করেছেন তিনি। আবার একাধিক ছবিতে বিনিয়োগ করে প্রযোজক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে সঞ্জয় দত্ত নিজেই ২৯৫ কোটি টাকার মালিক। ছবি পিছু তিনি ৮-১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন বলে জানা যায়। তাঁর মুম্বই ও দুবাইতে বাড়ি ও গাড়ি সবই রয়েছে। একটি হুইস্কি ব্র্যান্ডের মালিক তিনি, আবার এক ক্রিকেট দলেরও সহ-মালিক। রয়েছে আরও একাধিক ব্যবসা। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫