পটুয়াখালীর বাউফলে মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাউফল শাখার সদস্যরা। গাজীপুরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রবিবার রাতে বাউফল পৌরসভা এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে মশাল মিছিল বের করে এবং পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা—মুনতাসির তাসরিপ, রুহুল আমিন, মো.

রাহাত ও ফারহান রুপাই।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায়, আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ব উফল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ