পটুয়াখালীর বাউফলে মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাউফল শাখার সদস্যরা। গাজীপুরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রবিবার রাতে বাউফল পৌরসভা এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে মশাল মিছিল বের করে এবং পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা—মুনতাসির তাসরিপ, রুহুল আমিন, মো.

রাহাত ও ফারহান রুপাই।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায়, আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ব উফল

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ