বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনটির একটি অংশের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ঢাকাসহ উত্তরের ১৬ জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 

সোমবার বিকেলে সড়ক অবরোধের সময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায় আন্দোলনকারীদের। তারা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সিরাজগঞ্জের কমিটি ভুয়া ভুয়া’, ‘ভুয়া কমিটির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন 
কমিটি বাতিলের দাবিতে সিরাজগঞ্জে সড়ক অবরোধ

দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ

এর আগে, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। মুহূর্তেই ওই সড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন বহু যাত্রী। অল্পসময় পর তারা মহাসড়ক ছেড়ে যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মুনতাসীর মেহেদী বলেন, “বৈষম্য দূর করতে আমরা অকাতরে জীবন দিয়েছি। জেলা কমিটি ঘোষণায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই বৈষম্যমূলক কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পরে চার ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

n

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা

সড়ক অবরোধ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সজিব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হাসান রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে।

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ