‘পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের’ আন্দোলনের মুখে স্থগিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি বহালের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপান ও মুজিব সড়ক এলাকায় এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

গত শনিবার রাতে আগামী ছয় মাসের জন্য ওই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অনুমোদিত ওই কমিটিতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়। এরপর থেকে ওই কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ‘প্রকৃত ত্যাগীদের’ কমিটিতে স্থান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই কমিটি বাতিলের দাবি তোলে। দাবি আদায়ে রোববার ও সোমবার বিকেলে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা–রাজশাহী রেলপথও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলের দাবিতে সিরাজগঞ্জে আবারও মহাসড়ক অবরোধ৬ ঘণ্টা আগে

এ অবস্থায় সোমবার রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক জরুরি নোটিশের মাধ্যমে সদ্য ঘোষিত ২৮৪ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়।
এ স্থগিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কমিটির তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা মুক্তির সোপান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। অপর দিকে কমিটি বাতিলের দাবিতে রেল ও মহাসড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে উল্লাসে মেতে ওঠেন।

আরও পড়ুনসিরাজগঞ্জে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ