গাজীপুরে ১৬ দফা দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 11th, February 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ছুটির টাকা পরিশোধ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও নির্যাতনের প্রতিবাদসহ ১৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়ার লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় শ্রমিকরা সড়কে গাছের ডালপালা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
শ্রমিকদের দাবি, বাৎসরিক অর্জিত ছুটির বকেয়া টাকা পরিশোধ, টিফিন বিল প্রদান, ঈদ বোনাস বেসিকের সমপরিমাণ করা, এক হাজার টাকা হাজিরা বোনাস চালু, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের প্রতি খারাপ আচরণ বন্ধ এবং সুয়িং ইনচার্জ কাইয়ূম ও লিংকিং ফেরদৌসকে চাকরিচ্যুত করা ইত্যাদি। শ্রমিকদের দাবি, এ সব শর্ত পূরণ করা হলে তারা কাজে যোগ দেবেন।
আরো পড়ুন:
লিবিয়া থেকে উদ্ধারের জন্য ২৭ বাংলাদেশির আকুতি
খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট
শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ছুটির টাকা ও টিফিন বিল পরিশোধ করছে না, অনিয়মিত হাজিরা বোনাস দিচ্ছে এবং কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই করছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় ও নির্যাতন করা হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়ার লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আবদুল লতিফ জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১৬ দফা দাবির মধ্যে ১৪টি মেনে নিয়েছেন। তবে কারখানায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি ও দুইজন ইনচার্জকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রমিকরা আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।