গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ছুটির টাকা পরিশোধ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও নির্যাতনের প্রতিবাদসহ ১৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়ার লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় শ্রমিকরা সড়কে গাছের ডালপালা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

শ্রমিকদের দাবি, বাৎসরিক অর্জিত ছুটির বকেয়া টাকা পরিশোধ, টিফিন বিল প্রদান, ঈদ বোনাস বেসিকের সমপরিমাণ করা, এক হাজার টাকা হাজিরা বোনাস চালু, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের প্রতি খারাপ আচরণ বন্ধ এবং সুয়িং ইনচার্জ কাইয়ূম ও লিংকিং ফেরদৌসকে চাকরিচ্যুত করা ইত্যাদি। শ্রমিকদের দাবি, এ সব শর্ত পূরণ করা হলে তারা কাজে যোগ দেবেন।

আরো পড়ুন:

লিবিয়া থেকে উদ্ধারের জন্য ২৭ বাংলাদেশির আকুতি

খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট 

শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ছুটির টাকা ও টিফিন বিল পরিশোধ করছে না, অনিয়মিত হাজিরা বোনাস দিচ্ছে এবং কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই করছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় ও নির্যাতন করা হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়ার লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

শ্রীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আবদুল লতিফ জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১৬ দফা দাবির মধ্যে ১৪টি মেনে নিয়েছেন। তবে কারখানায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি ও দুইজন ইনচার্জকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রমিকরা আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ