আইওএস ও আইপ্যাডএসে ‘জিরো ডে’ ত্রুটি, জরুরি হালনাগাদ আনল অ্যাপল
Published: 11th, February 2025 GMT
আইওএস ও আইপ্যাডএসে ‘জিরো ডে’ ঘরানার গুরুতর নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে অপারেটিং সিস্টেমগুলোর হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ‘আইওএস ১৮.৩.১’ ও ‘আইপ্যাডএস ১৮.৩.১’ সংস্করণগুলোয় ‘সিভিই–২০২৫–২৪২০০’ নামের ‘জিরো ডে’ ঘরানার একটি নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করা হয়েছে। পুরোনো সব সংস্করণে নিরাপত্তাত্রুটিটি থেকে যাওয়ায় সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে দ্রুত আইওএস ও আইপ্যাডএস হালনাগাদের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি ল্যাবের গবেষক বিল মার্কজ্যাক প্রথম আইওএস ও আইপ্যাডএসে থাকা নিরাপত্তাত্রুটিটির সন্ধান পান। ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় নিরাপত্তাত্রুটিটি বেশ ভয়ংকর হওয়ায় অ্যাপলকে জানান তিনি। এরপর দ্রুত নিরাপত্তাসুবিধা হালনাগাদ করে আইওএস ও আইপ্যাডএসের নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত করে অ্যাপল।
অ্যাপলের তথ্যমতে, পুরোনো সংস্করণের আইওএস ও আইপ্যাডএসের ইউএসবি রেসটিকটেড মোডে নিরাপত্তা ত্রুটিটি পাওয়া গেছে। এই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে আইফোন ও আইপ্যাডের নিরাপত্তাব্যবস্থা এড়িয়ে দূর থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই দ্রুত আইওএস ও আইপ্যাডওএসের নতুন সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলে দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্যাঁচ উন্মুক্তের আগে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়। তবে পুরোনো সংস্করণের আইওএস ও আইপ্যাডওএসে কত দিন ধরে এ নিরাপত্তাত্রুটি ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি অ্যাপল।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স স করণ
এছাড়াও পড়ুন:
বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।
তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।
বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।
মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী