চ্যাম্পিয়নস লিগের বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মাঠে নামছে ফেইনুর্ড। তারা এবারের আসরে রীতিমত চমক দেখিয়েছে সবাইকে। ডাচ ক্লাবটি আরও একটি অঘটনের জন্ম দিতে চাইবে আজ রাতে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের কাজটা বেশ কঠিনই হবে। তাদের মুখোমুখি যে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল দল এসি মিলান।

ফেইনুর্ডের মাঠে এই ম্যাচের সব আলো থাকবে সান্তিয়াগো হেমিনিজের দিকে। এই ম্যাক্সিকান দুই সপ্তাহ আগেও ছিলেন ডাচ ক্লাবটির ফুটবলার। তবে শীতকালীন দলবদলের অন্তিম মুহূর্তে নাম লিখিয়েছেন মিলানে। এই ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার যখন ইতালিয়ান জায়ান্টদের ডেরায় নাম লিখিয়েছেন তখন কিন্তু এই দুই দলের মুখোমুখি হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

আরো পড়ুন:

‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’ তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভিনিসিয়ুসকে

রিয়াল দেখাল তারাই ‘রাজা’

 

মিলানের জার্সি গায়ে উঠিয়েই হেমিনেজ তার প্রথম সিরি-আ ম্যাচে গোল করেছেন এম্পাওলির বিপক্ষে। তৃতীয় ম্যাক্সিকান হিসেবে তিনি সিরি-আ’তে গোল করেছেন। যদিও ফেইনুর্ডের হয়ে তিনি চমৎকার ৩টি মৌসুম কাটিয়ে ১০৫ ম্যাচে ৬৫ গোল করেছেন।

এই মৌসুমে ফেইনুর্ড যেভাবে প্লে অফ পর্যন্ত এসেছে তা অবশ্য বেশ আশা জাগানিয়া। বায়ার্ন মিউনিখকে তারা হারিয়ে দিয়েছিল ৩-০ গোলে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে তারা ৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও বিষ্ময়ের জন্ম দিয়ে ম্যাচ ড্র করে। ফেইনুর্ডকে আসরের ‘গ্রেট এন্টারটেইনার’ বললেও ভুল হবে না।

অন্যদিকে নতুন ম্যানেজমেন্টের অধীনে ‘রেনেসা’র ডাক দিয়েছে এসি মিলান। চ্যাম্পিনস লিগের ৭ বারের চ্যাম্পিয়নরা নিকট অতীতের জঞ্জাল পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়নোর পথে হাটছে। সেই যাত্রায় তাদের অগ্রদূত ক্লাবটির কিংবদন্তী জলাতান ইব্রাহিমোভিচ। এই সুইডিশ ইতালিয়ান ক্লাবটির পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ইব্রাহিমোভিচের অনুরোধেই পর্তুগিজ ম্যানেজার সার্জিও কনসেইসাওকে মিলানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই এফসি পোর্তো ম্যানেজারের ফুটবল দর্শন একদম সহজ- গোল করা এবং নিজেদের গোলবারকে প্রতিপক্ষ থেকে রক্ষা করা। কনসেইসাও এসেই দলেটেনেছেন কাইল ওয়াকার, হেমিনেজ এবং জোয়াও ফিলিক্সের মত ফুটবলারদের।

চেলসি থেকে মিলানে নাম লেখানো ফিলিক্স আবার বড় ম্যাচের ফুটবলার। এই পর্তুগিজ ফ্রোয়ার্ডও নিজের প্রথম সিরি-আ ম্যাচে অসাধারণ এক গোল করেছেন। ডাক হর্স ফেইনুর্ডের বিপক্ষে এই ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যদিকে আক্রমণ ত্রয়ী লিয়াও,হেমিনেজ এবং ফিলিক্সের গোলের দিকেই হয়তো তাকিয়ে থাকবেন কোচ কনসেইসাও। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ গ ল কর ছ ন ফ ইন র ড র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ