রামচরণের দাম্পত্য জীবন নিয়ে বাবা চিরঞ্জীবীর মন্তব্য, বিতর্কের ঝড়
Published: 12th, February 2025 GMT
চিরঞ্জীবী আন্না দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির নতুনদের কাছে নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার নাম। পর্দা তিনি যেমন মহাতারকা পর্দার বাইরে ফ্যামিলি ম্যানও। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ছেলে রামচরণও বর্তমানে ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম মুখ। কিন্তু সেই দক্ষিণী তারকাদের বাড়িতেই কন্যাসন্তান নিয়ে মন্তব্যের জেরে প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনরা।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে চিরঞ্জিবীকে বলতে শোনা যায়, বাড়িতে থাকলে নাতনিদের সঙ্গে খেলতে ইচ্ছে করে না। বরং নিজেকে লেডিস হোস্টেলের ওয়ার্ডেন বলে মনে হয়। আমি সবসময়ে চাই রামচরণের এবার যেন তাঁর একটা ছেলে হয়। আমাদের পারিবারিক পরম্পরা বজায় রাখার জন্য একজন বংশপ্রদীপ চাই। আমার ভয় হয়, আবার যেন ওর কন্যাসন্তান না হয়।
প্রবীণ তারকার চিরঞ্জীবীর লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এমন মন্তব্য ভাইরাল হতেই অনুরাগীদের অসন্তোষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
বছর দুয়েক আগেই রামচরণ ও উপাসনা কোনিডেলার সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে কন্যাসন্তান। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর সন্তান লাভ হয় দক্ষিণী তারকার। শখ করে ঠাকুরদা চিরঞ্জীবীই নাতনির নাম রাখেন ‘মেগা প্রিন্সেস’। তবে এবার সেই চিরঞ্জীবীই কিনা লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক মন্তব্য করলেন বলে প্রশ্ন তুলে অনেকেই কটাক্ষ শুরু করেছেন তারকাকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র মচরণ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক