চিরঞ্জীবী আন্না দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির নতুনদের কাছে নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার নাম। পর্দা তিনি যেমন মহাতারকা পর্দার বাইরে ফ্যামিলি ম্যানও। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ছেলে রামচরণও বর্তমানে ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম মুখ। কিন্তু সেই দক্ষিণী তারকাদের বাড়িতেই কন্যাসন্তান নিয়ে মন্তব্যের জেরে প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনরা।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে চিরঞ্জিবীকে বলতে শোনা যায়, বাড়িতে থাকলে নাতনিদের সঙ্গে খেলতে ইচ্ছে করে না। বরং নিজেকে লেডিস হোস্টেলের ওয়ার্ডেন বলে মনে হয়। আমি সবসময়ে চাই রামচরণের এবার যেন তাঁর একটা ছেলে হয়। আমাদের পারিবারিক পরম্পরা বজায় রাখার জন্য একজন বংশপ্রদীপ চাই। আমার ভয় হয়, আবার যেন ওর কন্যাসন্তান না হয়।

প্রবীণ তারকার চিরঞ্জীবীর লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এমন মন্তব্য ভাইরাল হতেই অনুরাগীদের অসন্তোষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

বছর দুয়েক আগেই রামচরণ ও উপাসনা কোনিডেলার সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে কন্যাসন্তান। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর সন্তান লাভ হয় দক্ষিণী তারকার। শখ করে ঠাকুরদা চিরঞ্জীবীই নাতনির নাম রাখেন ‘মেগা প্রিন্সেস’। তবে এবার সেই চিরঞ্জীবীই কিনা লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক মন্তব্য করলেন বলে প্রশ্ন তুলে অনেকেই কটাক্ষ শুরু করেছেন তারকাকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র মচরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ