ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭ কার্তুজসহ ডিবির দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার, মোটরসাইকেল জব্দ
Published: 12th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শটগানের ৬৭টি কার্তুজসহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের কাউতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে দুজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযানের সময় দুজনের কাছ থেকে ২৭টি ভারতীয় শাড়ি, এক জোড়া হাতকড়া ও একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও সোহরাব হোসেন (৩০)। তাঁরা দুজনই জেলা ডিবি পুলিশের কনস্টেবল।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডিবির কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও সোহরাব হোসেন জেলা শহরের কাউতলী এলাকার ভাড়া বাসার চতুর্থ তলায় থাকতেন। এক তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) মো.
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, কীভাবে ও কোথায় থেকে এসব তাঁরা পেলেন এবং কেন এসব তাঁদের সংরক্ষণে ছিল—সবই তদন্ত হবে। নিয়মানুসারে তাঁরা চাকরিচ্যুত হবেন। তিনি আরও বলেন, ‘ডিবি পুলিশ কোনোভাবে তাঁদের কাছে কার্তুজ আছে জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন স্যারকে জানিয়েছে। স্যারের নির্দেশেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ জনক
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।