Samakal:
2025-05-01@05:29:27 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

Published: 13th, February 2025 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

শুরুর আগেই বড় ধরনের ধাক্কা খেল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলটি তাদের সেরা পেস অ্যাটাকের কাউকেই পাচ্ছে না আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ব্যক্তিগত কারণে আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। তাঁর আগে ইনজুরির কারণে ছিটকে যান প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল মার্শ। আর মার্কাস স্টয়নিস তো অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। 

অস্ট্রেলিয়ার যে দলটি বছর দেড়েক আগে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল, সেই দলের অনেকেই থাকছেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ভারত অনেক চেষ্টা করেও স্কোয়াডে রাখতে পারেনি তাদের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে। পিঠের চোটের কারণে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছে এই আসর থেকে। তারকা হারানোর এই মিছিলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও রয়েছে। সেই হিসেবে বরং বাংলাদেশ দলকে অন্তত চোট আঘাতের সমস্যা পোহাতে হয়নি।

বুমরাহকে পাওয়ার জন্য চেষ্টার সর্বোচ্চ করেছিল ভারতীয় বোর্ড। তাঁর পিঠের ব্যথা সারিয়ে ফিট করে তোলার জন্য বেঙ্গালুরুতে তিন চিকিৎসকের একটি দল কয়েক দিন ধরে নিরলস চেষ্টা করে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়ে হার্সিত রানাকে দলে নেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে যশ্বসী জয়সোয়ালকেও। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীকে। 

স্টিভেন স্মিথকেও শেষ পর্যন্ত দল সাজাতে হয়েছে কিছু বদল নিয়ে। দলে সুযোগ পেয়েছেন শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশিস, জ্যাক ফ্রেজার- ম্যাগার্ক, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাংঘাকে নিয়ে। আফগান দলের বড় ধাক্কা আল্লাহ গজনফরের মতো স্পিনারকে হারানো। মেরুদণ্ডে চীড় ধরেছে তাঁর, আরেক স্পিনার মুজিবুর রহমানও ইনজুরিতে।

অবশেষে নঙ্গিয়াল খারোতিকে দলে ভেড়াতে হয়েছে তাদের। চোটের কারণে এর আগেই নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও লকি ফার্গুসনকে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড পায়নি জ্যাকব বিকেলকে। পাকিস্তানও ঘরের মাঠে তাদের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে পাচ্ছে না হারিস রউফকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ