Samakal:
2025-11-03@23:17:38 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

Published: 13th, February 2025 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

শুরুর আগেই বড় ধরনের ধাক্কা খেল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলটি তাদের সেরা পেস অ্যাটাকের কাউকেই পাচ্ছে না আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ব্যক্তিগত কারণে আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। তাঁর আগে ইনজুরির কারণে ছিটকে যান প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল মার্শ। আর মার্কাস স্টয়নিস তো অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। 

অস্ট্রেলিয়ার যে দলটি বছর দেড়েক আগে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল, সেই দলের অনেকেই থাকছেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ভারত অনেক চেষ্টা করেও স্কোয়াডে রাখতে পারেনি তাদের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে। পিঠের চোটের কারণে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছে এই আসর থেকে। তারকা হারানোর এই মিছিলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও রয়েছে। সেই হিসেবে বরং বাংলাদেশ দলকে অন্তত চোট আঘাতের সমস্যা পোহাতে হয়নি।

বুমরাহকে পাওয়ার জন্য চেষ্টার সর্বোচ্চ করেছিল ভারতীয় বোর্ড। তাঁর পিঠের ব্যথা সারিয়ে ফিট করে তোলার জন্য বেঙ্গালুরুতে তিন চিকিৎসকের একটি দল কয়েক দিন ধরে নিরলস চেষ্টা করে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়ে হার্সিত রানাকে দলে নেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে যশ্বসী জয়সোয়ালকেও। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীকে। 

স্টিভেন স্মিথকেও শেষ পর্যন্ত দল সাজাতে হয়েছে কিছু বদল নিয়ে। দলে সুযোগ পেয়েছেন শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশিস, জ্যাক ফ্রেজার- ম্যাগার্ক, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাংঘাকে নিয়ে। আফগান দলের বড় ধাক্কা আল্লাহ গজনফরের মতো স্পিনারকে হারানো। মেরুদণ্ডে চীড় ধরেছে তাঁর, আরেক স্পিনার মুজিবুর রহমানও ইনজুরিতে।

অবশেষে নঙ্গিয়াল খারোতিকে দলে ভেড়াতে হয়েছে তাদের। চোটের কারণে এর আগেই নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও লকি ফার্গুসনকে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড পায়নি জ্যাকব বিকেলকে। পাকিস্তানও ঘরের মাঠে তাদের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে পাচ্ছে না হারিস রউফকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ