Samakal:
2025-08-01@02:28:58 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

Published: 13th, February 2025 GMT

দলগুলোতে তারকা হারানোর মিছিল

শুরুর আগেই বড় ধরনের ধাক্কা খেল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলটি তাদের সেরা পেস অ্যাটাকের কাউকেই পাচ্ছে না আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ব্যক্তিগত কারণে আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। তাঁর আগে ইনজুরির কারণে ছিটকে যান প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল মার্শ। আর মার্কাস স্টয়নিস তো অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। 

অস্ট্রেলিয়ার যে দলটি বছর দেড়েক আগে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল, সেই দলের অনেকেই থাকছেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ভারত অনেক চেষ্টা করেও স্কোয়াডে রাখতে পারেনি তাদের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে। পিঠের চোটের কারণে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছে এই আসর থেকে। তারকা হারানোর এই মিছিলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও রয়েছে। সেই হিসেবে বরং বাংলাদেশ দলকে অন্তত চোট আঘাতের সমস্যা পোহাতে হয়নি।

বুমরাহকে পাওয়ার জন্য চেষ্টার সর্বোচ্চ করেছিল ভারতীয় বোর্ড। তাঁর পিঠের ব্যথা সারিয়ে ফিট করে তোলার জন্য বেঙ্গালুরুতে তিন চিকিৎসকের একটি দল কয়েক দিন ধরে নিরলস চেষ্টা করে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়ে হার্সিত রানাকে দলে নেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে যশ্বসী জয়সোয়ালকেও। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীকে। 

স্টিভেন স্মিথকেও শেষ পর্যন্ত দল সাজাতে হয়েছে কিছু বদল নিয়ে। দলে সুযোগ পেয়েছেন শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশিস, জ্যাক ফ্রেজার- ম্যাগার্ক, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাংঘাকে নিয়ে। আফগান দলের বড় ধাক্কা আল্লাহ গজনফরের মতো স্পিনারকে হারানো। মেরুদণ্ডে চীড় ধরেছে তাঁর, আরেক স্পিনার মুজিবুর রহমানও ইনজুরিতে।

অবশেষে নঙ্গিয়াল খারোতিকে দলে ভেড়াতে হয়েছে তাদের। চোটের কারণে এর আগেই নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও লকি ফার্গুসনকে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড পায়নি জ্যাকব বিকেলকে। পাকিস্তানও ঘরের মাঠে তাদের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে পাচ্ছে না হারিস রউফকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ