ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে একটি বিশেষ উপহার পেলেন কেভিন পিটারসেনের ছেলে ডিলান পিটারসেন। উপহারটি পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি। ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানের দেওয়া স্বাক্ষরিত জার্সি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ডিলান।  

সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান পিটারসেন সম্প্রতি ইংল্যান্ড-ভারতের সীমিত ওভারের সিরিজের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সফর শেষে দেশে ফিরেই ছেলেকে উপহারটি দেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রামে ডিলানের সেই মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করে পিটারসেন লিখেছেন, 'বাড়ি ফিরেই ডিলানকে কোহলির দেওয়া উপহার দিলাম, যা সঙ্গে সঙ্গেই পরে নিলো! দারুণ মানিয়েছে। ধন্যবাদ বন্ধু।'

ভারত সফরে ইংল্যান্ডের জন্য সময়টা মোটেই সুখকর ছিল না। জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলটি পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-৪ ব্যবধানে পরাজিত হয় এবং ওয়ানডে সিরিজেও ০-৩ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়।  

সফর চলাকালীন ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন পিটারসেন। ধারাভাষ্যের সময় ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী দাবি করেছিলেন, ইংল্যান্ড দল যথাযথ অনুশীলন করেনি। এরপর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে পিটারসেন লিখেছিলেন, 'আমি হতবাক! প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পরও ইংল্যান্ড একটি মাত্র দলীয় অনুশীলন সেশনও করেনি! এটি কীভাবে সম্ভব? সিরিজে জো রুট ছাড়া আর কেউ কি নেটে ব্যাট করেছে?'

তিনি আরও লেখেন, 'এই দলে এমন কেউ নেই, যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারবে যে সে ইংল্যান্ডকে জেতানোর জন্য তার সর্বোচ্চ দিয়েছে। অনুশীলন ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। আর এ কারণে আজ আমি সত্যিই দুঃখিত। হার মানা ঠিক আছে, যদি প্রতিদিন উন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যদি অনুশীলনই না করা হয়, তাহলে চেষ্টা করারও প্রশ্ন আসে না। এটি ইংল্যান্ডের যে কোনো সমর্থকের জন্য হৃদয়বিদারক!'

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ক ভ ন প ট রস ন র জন য উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ