কোহলির উপহার পেলেন পিটারসেনের ছেলে
Published: 14th, February 2025 GMT
ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে একটি বিশেষ উপহার পেলেন কেভিন পিটারসেনের ছেলে ডিলান পিটারসেন। উপহারটি পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি। ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানের দেওয়া স্বাক্ষরিত জার্সি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ডিলান।
সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান পিটারসেন সম্প্রতি ইংল্যান্ড-ভারতের সীমিত ওভারের সিরিজের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সফর শেষে দেশে ফিরেই ছেলেকে উপহারটি দেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রামে ডিলানের সেই মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করে পিটারসেন লিখেছেন, 'বাড়ি ফিরেই ডিলানকে কোহলির দেওয়া উপহার দিলাম, যা সঙ্গে সঙ্গেই পরে নিলো! দারুণ মানিয়েছে। ধন্যবাদ বন্ধু।'
ভারত সফরে ইংল্যান্ডের জন্য সময়টা মোটেই সুখকর ছিল না। জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলটি পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-৪ ব্যবধানে পরাজিত হয় এবং ওয়ানডে সিরিজেও ০-৩ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়।
সফর চলাকালীন ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন পিটারসেন। ধারাভাষ্যের সময় ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী দাবি করেছিলেন, ইংল্যান্ড দল যথাযথ অনুশীলন করেনি। এরপর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে পিটারসেন লিখেছিলেন, 'আমি হতবাক! প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পরও ইংল্যান্ড একটি মাত্র দলীয় অনুশীলন সেশনও করেনি! এটি কীভাবে সম্ভব? সিরিজে জো রুট ছাড়া আর কেউ কি নেটে ব্যাট করেছে?'
তিনি আরও লেখেন, 'এই দলে এমন কেউ নেই, যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারবে যে সে ইংল্যান্ডকে জেতানোর জন্য তার সর্বোচ্চ দিয়েছে। অনুশীলন ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। আর এ কারণে আজ আমি সত্যিই দুঃখিত। হার মানা ঠিক আছে, যদি প্রতিদিন উন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যদি অনুশীলনই না করা হয়, তাহলে চেষ্টা করারও প্রশ্ন আসে না। এটি ইংল্যান্ডের যে কোনো সমর্থকের জন্য হৃদয়বিদারক!'
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ক ভ ন প ট রস ন র জন য উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’