২০০৯ সালের আসরটি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ষষ্ঠ আসর। ২০০৮ সালে এই আসর হওয়ার কথা ছিল। আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান যেতে আগ্রহী হয়নি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের মতো দলগুলো। প্রতিযোগী দলগুলোর অনীহার কারণে আইসিসি পাকিস্তানের জন্য প্রতিযোগীতাটি স্থগিত ঘোষণা করে।
পরের বছর বিকল্প স্বাগতিক দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকবে না বলে বিকল্প চিন্তা করা হয়। এসব কিছু বিবেচনার পর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিযোগিতার স্বাগতিক দেশ হিসেবে মনোনীত হয়। ওই আসরের সবগুলো ম্যাচ জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম ও সেঞ্চুরিয়ন পার্কে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
এই আসরে মোট ৮টি দল অংশ নেয়। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় চার দল সেমি-ফাইনালে উপনীত হয়। ৫ অক্টোবর সেঞ্চুরিয়নে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা নিজেদের কাছেই রাখে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০০৯ সালের আসরে প্রথম সেমিফাইনালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জোহানেসবার্গে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী হয় নিউজিল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ওই আসরে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান আসে রিকি পন্টিংয়ের উইলো থেকে। পুরো টুর্নামেন্টে জুড়ে ২৮৮ রান করেন তিনি। ফলে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন অসি অধিনায়ক। বল হাতে সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট নেন প্রোটিয়া বোলার ওয়াইন পার্নেল।
এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি- ২০০৯:
তারিখ: ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ২০০৯
আয়োজক: দক্ষিণ আফ্রিকা
ফরম্যাট: ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল
টুর্নামেন্ট: রাউন্ড-রবিন
অংশগ্রহণকারী দেশ: ৮টি
মোট ম্যাচ: ১৫
চ্যাম্পিয়ন: অস্ট্রেলিয়া
সবচেয়ে বেশি রান: রিকি পন্টিং (২৮৮)
সবচেয়ে বেশি উইকেট: ওয়াইন পার্নেল (১১)।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫