গুগলের পাঠানো ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা কতটা নির্ভরযোগ্য
Published: 16th, February 2025 GMT
ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে ২০২০ সালে ‘অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম’ চালু করে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম চালু হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এ সুবিধা চালু রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম মূলত ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায়। ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শও দিয়ে থাকে। তবে গত শুক্রবার রাতে ব্রাজিলে কোনো ভূমিকম্প না হলেও সাও পাওলো ও রিও ডি জেনেইরো শহরে বসবাসকারীদের ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম। এর ফলে গুগলের এ সুবিধার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভূমিকম্পের ভুয়া সতর্কবার্তা পাঠানোর পর এরই মধ্যে ব্রাজিলে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে গুগল। জানা গেছে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত দুইটায় বহু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম। বার্তায় বলা হয়, দেশটির উবাতুবা ও বাইশাদা সান্তিস্তা অঞ্চলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে ব্রাজিলের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো এ ধরনের কোনো ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে ভূমিকম্প হলেই সতর্ক করবে গুগল১৯ জুলাই ২০২২এ বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র এড ফার্নান্দেজ বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সিস্টেম সাও পাওলোর উপকূলীয় অঞ্চলে থাকা কিছু যন্ত্র থেকে সংকেত শনাক্ত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পাঠায়। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা ব্রাজিলে সুবিধাটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করি। এতে ব্যবহারকারীদের যে অসুবিধা হয়েছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ভুল না হয়, সে জন্য আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা চালু করবেন যেভাবে০৩ অক্টোবর ২০২৩গুগলের তথ্যমতে, অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম একটি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, যা স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করে ভূমিকম্প শনাক্ত করে এবং দ্রুত সতর্কবার্তা পাঠায়। তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক সরকারি সতর্কবার্তার বিকল্প নয়।
সূত্র: দ্য ভার্জ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।