Samakal:
2025-11-03@05:36:00 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

Published: 16th, February 2025 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

বিসিএসের প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। একটি অসাধারণ প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে অভীষ্ট লক্ষ্যে। কেমন এবং কীভাবে শুরু হওয়া উচিত এই পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল, জানাচ্ছেন এম. এ. মান্নান 

বিসিএস একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। পরিশ্রম করলে আপনি সফল হবেন– এই বিশ্বাস রাখতে চেষ্টা করুন। প্রথমেই বিসিএস প্রিলিমিনারির সিলেবাসটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সিলেবাস ধরে বিগত প্রশ্নগুলো পড়ে আপনি আপনার স্ট্রং জোন আর উইক জোন বের করুন। সিলেবাসের টপিক ধরে ধরে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্নগুলো অ্যানালাইসিস করুন এবং আপনি যে টপিকগুলো পড়েছেন, তার থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আগের বিসিএসগুলোতে এসেছে, তা খেয়াল করুন।

বিসিএস সিলেবাসে এমন অনেক টপিক আছে, যা আপনি আগে থেকেই জানেন বা ধারণা আছে। আবার কিছু কিছু বিষয় আপনার জন্য একেবারেই নতুন। এই নতুন বিষয়গুলো থেকে নিজের মতো করে কিছু বিষয় নির্বাচন করে পড়া শুরু করে দিন। একটি অসাধারণ অলরাউন্ড প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দেবে আপনার অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনি হয়ে যাবেন বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। আর সে জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে রুটিন করে। বিসিএসের সিলেবাস বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।  আপনাকে জানতে হবে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন। বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। পরীক্ষার  প্রস্তুতি যদি পরিকল্পনামাফিক হয়ে থাকে, তাহলে হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব। বিসিএস হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। কারণ, এখানে এসে আপনি জীবনে প্রথম অনেক বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে শুরু করেন। যেমন বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সংবিধান সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। তাই এমন বিষয় আয়ত্ত করতে বেশি পরিশ্রম করতে ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। আজ আলোচনা করা হলো ইংরেজি বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।  

 Noun, Adjective, Verb, Preposition, adverb, Conjunction থেকে প্রশ্ন আসবেই। এ অংশে আপনি অবশ্যই ৪-৫ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন। Gerund ও Participle অংশে ২-৩ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। Parts of Speech-এর পরিবর্তন, অর্থাৎ Noun থেকে Adjective, Adjective থেকে Adverb রূপান্তর শনাক্তকরণে ২-৩ নম্বর থাকবে।
নম্বর পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভোকাবুলারি। Synonyms, Antonyms, One Word Substitutions, Idiom Phrases, Group Verbs, Misspelling অংশ থেকে ৬-৭ নম্বর অবশ্যই থাকবে। এ জন্য পড়ার কৌশল হচ্ছে বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন ও তার ব্যাখ্যার সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরির ভোকাবুলারি পড়ে নেওয়া। 
গ্রামার রুলস; যেমন Condition, Narration, Voice, Right form of verbs, Transformation of Sentencesসহ প্রতিটি অংশ থেকে প্রশ্ন থাকে। গ্রামার রুলস অংশে এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের প্রশ্ন থাকে। তাই যত্ন করে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যতিক্রম উদাহরণগুলো পড়তে হবে।
Article, Degree, Tag Question, Parallelism পরীক্ষায় সরাসরি না এলেও Pin point error ধরনের প্রশ্ন সমাধানে কাজে লাগে। তাই এসব বিষয় এড়িয়ে যাবেন না।
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এই বিষয়গুলো আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি নতুন। ইংরেজি সাহিত্যের খুঁটিনাটি পড়তে গিয়ে অনেকেই সময় নষ্ট করেন। এ ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম এবং কিছু কোটেশন শিখলে ১৫-তে অন্তত ১০-১২ নম্বর সহজেই পেতে পারেন। শুরুতেই আগের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ইংরেজি সাহিত্যের প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। এর পর বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

ইংরেজি সাহিত্যের যুগ বিভাজন সম্পর্কে জানা আবশ্যক। এলিজাবেথীয় যুগ, রোমান্টিক যুগ, ভিক্টোরিয়ান যুগ ও আধুনিক যুগ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। তাই এ যুগগুলোর সাহিত্যিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের কিংবদন্তি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের সব সাহিত্যকর্ম বিস্তারিত পড়তে হবে। তাঁর বিখ্যাত সব ট্র্যাজেডি ও কমেডির চরিত্র ও কোটেশন ভালোমতো শিখতে হবে। তাঁর সাহিত্যকর্ম থেকে প্রতি বিসিএসেই একাধিক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়।
ইংরেজি সাহিত্যে কিছু পরিভাষা ব্যবহৃত হয়, যেগুলোকে ‘লিটারেরি টার্মস’ বলা হয়। এই পরিভাষাগুলো থেকে প্রতিনিয়তই প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া বিখ্যাত লেখকদের উপাধি, ছদ্মনাম ও একই নামের একাধিক সাহিত্যকর্ম গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন পদক-পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের জাতীয় কবি, প্রসিদ্ধ লেখকদের দেশ-পরিচয় সম্পর্কেও জেনে রাখতে পারেন।

নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া
ইংরেজি পরীক্ষায় ভালো করার প্রধান শর্ত নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি সংবাদ পড়তে হবে। নতুন শব্দগুলো নোট করে বারবার রিভিশন দিতে হবে। কোনো সংবাদ খুব বেশি কঠিন মনে হলে মূলভাব বুঝে নিতে হবে। ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ, প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার সংবাদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। পড়ার সময় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে সেগুলো লিখে রাখবেন। এতে রচনা ও বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করলে রিডিং কমপ্রিহেনশন খুব সহজেই বোঝা যাবে। অনুবাদ করার দক্ষতা বাড়বে। রচনা লেখার মান বেড়ে যাবে।

শব্দভান্ডার বাড়ানো
ইংরেজির শব্দভান্ডার দু-এক দিনে বাড়বে না, নিয়মিত ১০টি করে নতুন নতুন শব্দ শিখুন। অনেকেই অভিযোগ করেন ইংরেজি শব্দ মনে থাকে না বা খুব দ্রুত ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে, প্রতিটি ইংরেজি শব্দ পড়ে বাক্যে ব্যবহার করতে হবে। কিছু ভোকাবুলারির বই আছে, যেগুলোয় প্রতিটি ইংরেজি শব্দের সঙ্গে এর ব্যবহার দেওয়া আছে। শব্দটি বাক্যে কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি বুঝতে পারলে তা মনে থাকবে। ইংরেজি ভোকাবুলারিতে ভালো দখল না থাকলে অনুচ্ছেদ বুঝতে যেমন সমস্যা হবে, তেমনি অনুবাদ ও রচনা লিখতেও বারবার হোঁচট খেতে হবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স এস প র ল ম ন র স হ ত যকর ম পর ক ষ ব যবহ প রথম আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার

২০০৫ ও ২০১৭, ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। হারমানপ্রীত কৌররা লম্বা সেই অপেক্ষা দূর করলেন দুই হাজার পঁচিশে।

মুম্বাইয়ের নাভিতে প্রায় ষাট হাজার দর্শকের সামনে উচিুঁয়ে ধরলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। ২০১৭ সালের ফাইনালেও খেলেছিলেন হারমানপ্রীত। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এবার আর ভুল করলেন না। অধিনায়ক হয়ে জিতলেন শিরোপা। গড়লেন ইতিহাস। যে ইতিহাস কখনো মুছবে না। কখনো জং ধরবে না।

ঝলমলে হাসিতে হারমানপ্রীত ট্রফি হাতে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন। এবার তার আবেগের ধরণ ছিল ভিন্ন, যেন স্বপ্ন পূরণের মাখামাখি। লম্বা সংবাদ সম্মেলন জুড়ে বারবার তার কণ্ঠ ধরে আসে। আবেগ, রোমাঞ্চ, গর্ব, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তবে একটি শব্দের ওপর বারবার ফিরে আসছিলেন তিনি, তা হলো আত্মবিশ্বাস,
‘‘আমি কেবল আমার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আমি স্তম্ভিত, আমি বুঝতে পারছি না। আসলে, এতে উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি প্রথম দিন থেকেই এটা বলে আসছি। আমরা বাম বা ডানে তাকাচ্ছিলাম না। আমরা কেবল আমাদের মূল লক্ষ্যের দিকে তাকিয়েছিলাম।’’ - বলেছেন হারমানপ্রীত।

স্বপ্ন পূরণের রাতে হারমানপ্রীত কাছে পেয়েছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেটার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী এবং অঞ্জুম চোপড়াকে। প্রত‌্যেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর। তাদের অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জেমিমা, দীপ্তি, শেফালি, স্মৃতিরা।

শিরোপা উৎসবে যোগ দেন মিতালি, ঝুলন, আঞ্জুমরা। তাদের হাতেও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সাথে সেই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হারমানপ্রীত বলেন, ‘‘ঝুলন দি আমার সবচেয়ে বড় আইডল ছিলেন। যখন আমি দলে যোগ দিই, তখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমি যখন খুব কাঁচা ছিলাম এবং ক্রিকেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, তখনও তিনি সবসময় আমাকে সমর্থন করতেন। অঞ্জুম দি-ও তাই। এই দুজন আমার জন্য দারুণ সমর্থন ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি তাদের সাথে এই বিশেষ মুহূর্তটি ভাগ করে নিতে পেরেছি। এটি খুব আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। আমার মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে, আমরা এই ট্রফি স্পর্শ করতে পেরেছি।’’

তার জন‌্য বিশ্বকাপের পুরো অভিযানটিই ছিল গভীরভাবে আবেগপূর্ণ। রাউন্ড রবিন লিগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম‌্যাচ হার। চোট, অফ ফর্ম, জড়তা। সব সামলে সেরা হয়েছেন। তাইতো নিজেদের নিয়ে গর্বটাও বেশি হারমানপ্রীতদের, ‘‘আমরা প্রথম বল থেকেই অনুভব করেছিলাম যে আমরা জিততে পারি, কারণ শেষ তিন ম্যাচে আমাদের দল যেভাবে খেলছিল, তাতে আমাদের জন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছিল, বিশেষ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস। আমরা অনেকদিন ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমরা জানতাম দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি।”

"গত এক মাস খুব আকর্ষণীয় ছিল। সেই দিনটির (ইংল্যান্ডের কাছে হারের) পর আমাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। সেই রাত আমাদের জন্য অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল। এটি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল। আমরা বিশ্বকাপের জন্য আরও প্রস্তুত হলাম। আমরা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং মেডিটেশন শুরু করেছিলাম। আমরা বারবার বলছিলাম, যে জন‌্য আমরা এখানে এসেছি এবং এবার আমাদের এটা করতেই হবে।" - যোগ করেন হারমানপ্রীত।

প্রথম যে কোনো কিছুই আনন্দের। রোমাঞ্চের। এই অভিজ্ঞতা শব্দে বয়ান করা যায় না। বয়ান করা সম্ভব হয় না। হারমানপ্রীতও পারেন না নিজের সবটা উজার করে বলতে। তবে এই শিরোপায় তাদের নাম লিখা হবে সেই আত্মবিশ্বাস তারও ছিল, ‘‘আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি—আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু আমাদের একটি বড় শিরোপা জিততেই হতো।"

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ