জাতীয়তাবাদী যুবদল বগুড়া জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত কমিটির পাঁচ নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদও স্থগিত করা হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় তাঁদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমলূক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশে রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পদ স্থগিত করা ওই পাঁচ নেতা হলেন বগুড়া জেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাউল ইসলাম, স্বাস্থ্য সম্পাদক মো.

ইনছান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহসান হাবীব, সহকর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা এবং সদস্য মো. সজল হোসাইন রহমত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত নেতাদের দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাংগঠনিক সূত্রে জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলা যুবদলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক দুই সভাপতির মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে যুবদলের জেলা কমিটির সভাপতি ও আবু হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটি ঘোষণার পর অন্তত পাঁচজন নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসব ছবিতে বগুড়া জেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাউল ইসলামকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসানের সঙ্গে তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়। এ ছাড়া অন্য নেতাদেরও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার কেন্দ্রীয় যুবদল পাঁচজনের পদ ছাড়াও সব পর্যায়ের সদস্যপদ স্থগিত করে।

বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন কমিটিকে বিতর্কিত করতে ভুয়া কিছু ফেসবুক আইডিতে কয়েকজন নেতাকে নিয়ে নানা ভিত্তিহীন ছবি ছড়ানো হয়। কমিটির পরিচিতি সভা করার পরও এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো বন্ধ না হওয়ায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের পদ স্থগিত করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ট র স ল ইসল ম য বদল র সদস য আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ