অস্কারে কারা জিতবেন সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসের (বাফটা)  বিজয়ীদের দিকে তাকালে! গত বছর দুটি আয়োজনেই সামনের সারির ছয়টি বিভাগের বিজয়ী তালিকা ছিল একই। এগুলো হলো সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। এবারও এর পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এবারে বাফটার ৭৮তম আসরে চারটি করে পুরস্কার জিতলো যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডি কোর্বে পরিচালিত ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ও জার্মানির অ্যাডওয়ার্ড বার্গার পরিচালিত ‘কনক্লেভ’। গত রোববার লন্ডনের সাউথব্যাংক সেন্টারের রয়েল ফেস্টিভ্যাল মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডেভিড টেন্যান্ট।

সেরা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অসাধারণ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘কনক্লেভ’। এছাড়া রূপান্তরিত চিত্রনাট্য ও সেরা সম্পাদনা বিভাগের পুরস্কার জিতেছে ছবিটি। এর গল্পে দেখা যায়, নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য রোমে জড়ো হয় একদল পরচর্চাকারী ও চক্রান্তকারী। গত বছরের ২৯ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায় পিটার স্ট্রহেনের রাজনৈতিক থ্রিলার সিনেমা ‘কনক্লেভ’। ২০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ছবিটি ৭৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে এ ছবির জন্য সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন পিটার স্ট্রহেন। এবার বাফটায় সর্বোচ্চ ১২টি মনোনয়ন পেয়ে ছবিটি পুরস্কার পেয়েছে ৪টি শাখায়।

অন্যদিকে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ছবির গল্প দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাঙ্গেরির এক ইহুদি স্থপতিকে কেন্দ্র করে, নাৎসিদের গণহত্যা থেকে বেঁচে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায় লোকটি। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য আমেরিকায় এক ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীর অধীনে যুক্ত হয় সে। স্থপতির ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। ছবিটির সুবাদে সেরা পরিচালক হয়েছেন ব্র্যাডি কোর্বে। সেরা মৌলিক আবহ সংগীত ও সেরা চিত্রগ্রহণ বিভাগের পুরস্কার জিতেছে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’। ব্র্যাডি করবেটের ব্যাপক প্রশংসিত ছবিটি গোল্ডেন গ্লোবে জিতেছিল তিন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।

বাফটার এবারের আসরে আমেরিকান তারকা ডেমি মুরকে হারিয়ে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন মাইকি ম্যাডিসন। ‘আনোরা’ সিনেমায় নিউইয়র্কের একটি ক্লাবের স্ট্রিপার চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। মেয়েটি এক রুশ ধনকুবেরে ছেলের সঙ্গে উদ্দাম প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা হাতে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার সমস্ত যৌনকর্মীদের উদ্দেশ্যে। প্রত্যেক যৌনকর্মীদের সম্মান এবং ভালোবাসা দেখানো উচিত। ওরাও একজন মানুষ। তিনি আরও বলেছেন, আমি আমার মাকে ধন্যবাদ জানাই যিনি আমার প্রিয় স্ক্রিন পার্টনার। ওঁর থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তোমার অসাধারণ পারফর্মেন্স আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে। আমি যা শিখেছি শুধুমাত্র তোমার থেকেই শিখেছি।’

এবারের আসরে দুটি করে পুরস্কার জিতেছে ‘উইকেড’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘আনোরা’, ‘ডুন: পার্ট টু’, ‘অ্যা রিয়েল পেইন’ ও অ্যানিমেটেড ছবি ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজেন্স মোস্ট ফাউল’।

 

 

 

 

এক নজরে

বিজয়ী তালিকা

 

সেরা চলচ্চিত্র

কনক্লেভ

সেরা অভিনেতা

অ্যাড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট)

সেরা অভিনেত্রী

মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা

কিয়ের‌্যান কালকিন (অ্যা রিয়েল পেইন)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী

জোয়ি সালদানিয়া (এমিলিয়া পেরেজ)

সেরা পরিচালক

ব্র্যাডি কোর্বে (দ্য ব্রুটালিস্ট)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য

আ রিয়েল পেইন (জেসি আইজেনবার্গ)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য

কনক্লেভ (পিটার স্ট্রাউহ্যান)

সেরা অ-ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র

এমিলিয়া পেরেজ (ফ্রান্স; জ্যাক অঁডিয়ার, পাসক্যাল কোঁশোতু)

সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র

ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজেন্স মোস্ট ফাউল (নেটফ্লিক্স)

সেরা মৌলিক আবহ সংগীত

দ্য ব্রুটালিস্ট (ড্যানিয়েল ব্লুমবার্গ)

সেরা চিত্রগ্রহণ

দ্য ব্রুটালিস্ট (লও ক্রোলি)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা

উইকেড (পল টেজওয়েল)

সেরা সম্পাদনা

কনক্লেভ (নিক এমারসন)

সেরা শিল্প নির্দেশনা

উইকেড (ন্যাথান ক্রাউলি, লি সানডেইলিস)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা

দ্য সাবস্ট্যান্স (পিয়ের-অলিভিয়ের পেরসাঁ, স্টেফানি গিয়োঁ, ফ্রেদেরিক আর্গুয়েলো, ম্যারিলিন স্কারসেলি)

সেরা শব্দ

ডুন: পার্ট টু (রন বার্টলেট, ডাগ হেম্ফিল, গারেথ জন, রিচার্ড কিং)

সেরা স্পেশাল ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস

ডুন: পার্ট টু (পল ল্যাম্বার্ট, স্টিফেন জেমস, গেয়ার্ড নেফজা, রিস স্যালকম্ব)

অসাধারণ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র

কনক্লেভ

অসাধারণ নতুন ব্রিটিশ গল্পকার, পরিচালক অথবা প্রযোজক

নিক্যাপ (পরিচালক: রিচ পেপিয়াট)

ইই বাফটা রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (দর্শক ভোট)

ডেভিড জনসন

সেরা কাস্টিং

আনোরা (শন বেকার, সামান্থা কোয়ান)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র

সুপার/ম্যান: দ্য ক্রিস্টোফার রিভ স্টোরি

সেরা শিশুতোষ ও পারিবারিক চলচ্চিত্র

ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজেন্স মোস্ট ফাউল (নেটফ্লিক্স)

সেরা ব্রিটিশ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

রক পেপার সিজারস

সেরা ব্রিটিশ অ্যানিমেটেড স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

ওয়ান্ডার টু ওয়ান্ডার

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র চলচ চ ত র কনক ল ভ র জন য পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে জাতীয় মুখ মামদানি

ডেমোক্র্যাট ভোটার লিয়া অ্যাশ বহু বছর ধরে কোনো রাজনীতিককে নিয়ে আশাবাদী অনুভব করেননি। তবে সম্প্রতি সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমার জন্য তিনিই একমাত্র আলোর দিশা। তিনি সত্যিই মানুষের কথা শুনতে চান—যাঁদের তিনি মেয়র হতে যাচ্ছেন।’

২৬ বছর বয়সী অ্যাশ যে ব্যক্তির কথা বলছেন, তিনি হলেন জোহরান মামদানি, যিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী।

মামদানি তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ কারণেই অ্যাশ নিঃসংকোচে মামদানিকে ভোট দিতে চান। তবে তিনি মামদানিকে ভোট দিতে পারছেন না। কারণ, তিনি থাকেন নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে, মিসিসিপির গালফপোর্ট শহরে।

অ্যাশ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই, কোনো একদিন গালফপোর্ট, মিসিসিপিতেও এক জোহরান মামদানি আসবেন।’

জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত মুখ

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট মামদানি এক প্রান্তিক প্রার্থী থেকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচিত মুখে পরিণত হয়েছেন। গত জুন মাসের দলীয় নির্বাচনে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি।

আগামীকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে মেয়র নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের সব জরিপেই দেখা গেছে, নিউইয়র্ক শহরের সাবেক মেয়র অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মামদানি এগিয়ে রয়েছেন। মামদানি আশা করছেন, আগেরবারের মতো এবারও তরুণ ভোটাররা তাঁর পাশে থাকবেন। তবে শুধু নিউইয়র্কের মধ্যেই নয়, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবিলার তাঁর অঙ্গীকার পুরো দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। অনেক জেন–জি ও মিলেনিয়ালস প্রজন্মের মানুষ বলছেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গায় হাত রেখেছেন মামদানি। তরুণ প্রজন্ম যখন রাজনীতিকদের প্রতি আশা হারিয়ে ফেলেছেন এবং প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন কণ্ঠস্বরের অপেক্ষায় আছেন, তখনই মামদানির উত্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সার্কেলে তরুণ ভোটারদের নিয়ে গবেষণা করেন রুবি বেল বুথ। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো প্রার্থী জনগণের উদ্বেগ নিয়ে কথা বলেন এবং সেই উদ্বেগকে স্বীকৃতি দেন, তখন সেটি বিশাল প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের ক্ষেত্রে।’

রুবি বেল বুথ আরও বলেন, ‘তরুণেরা যখন সত্যিই অনুভব করেন যে তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে, তাঁদের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে, তখন যেকোনো প্রার্থী সফল হতে পারেন। তবে এখন সেটি করছেন মামদানি। আর এর আগে হয়তো সেটা করেছিলেন ট্রাম্প।’

রক্ষণশীলদের মধ্যেও জনপ্রিয়

রক্ষণশীল রাজ্য মিসিসিপিতে বসবাস করলেও লিয়া অ্যাশ সব সময়ই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের ভোট দিয়ে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হতাশ ও উপেক্ষিত বোধ করছেন। এই অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে তাঁর অর্থনৈতিক বাস্তবতা থেকে। অন্যদিকে অ্যান্ড্রু টেইট ভার্জিনিয়ার এক গ্রামীণ এলাকায় একটি ছোট খামারে তাঁর সঙ্গী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন এবং স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনিও মূল্যস্ফীতি ও পরিবারের আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
অ্যাশ বলেন, ‘দেশের অন্যতম দরিদ্র রাজ্য হয়েও মিসিসিপিতে বাড়ির দাম বেড়েই চলেছে। এটা সত্যিই মন খারাপ করে দেয়।’ তবু অ্যাশ আশা করছেন, যদি মামদানি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে সেটি দেশের অন্যান্য শহরের ডেমোক্র্যাট নেতাদের জন্য একটি বার্তা হয়ে যাবে।

জোহরান মামদানি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিক অঙ্গীকার করেছেন, বিশেষ করে বাসস্থান নিয়ে। তাঁর লক্ষ্য শহরের খরচ কমানো। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। আর রক্ষণশীলদের, বিশেষ করে ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছে মামদানির দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক। তবু এসব সতর্কতা তরুণ মার্কিন ভোটারদের খুব একটা বিচলিত করছে না। তাঁরা রাজনৈতিক দলের লেবেলের পরিবর্তে মামদানির বাস্তব জীবনের সমস্যা ও সমাধানমুখী বার্তাতেই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

গবেষক বেলি বুথ বলেন, ‘মামদানিই এমন একজন প্রার্থী, যিনি প্রচলিত ব্যবস্থাকে নানা দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করছেন।’

২৬ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট এমিলি উইলসনের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট দলীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসরত এমিলি দূর থেকেই মামদানিকে সমর্থন করছেন। মিশিগানের অ্যান আরবারের কাছে এক ছোট শহরে বসবাসরত ২৫ বছর বয়সী ডেইজি লুপাও একইভাবে ভাবেন। তাঁর মতে, মামদানির প্রচারাভিযানটা নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে। তাঁর অনেক প্রস্তাব গ্রামীণ আমেরিকাসহ নিজ সম্প্রদায়ের জন্যও কার্যকর হতে পারে। লুপা বলেন, ‘নিউইয়র্কে তিনি যেসব পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন, সেগুলোর অনেকটাই আমরা গ্রামীণ এলাকায় আরও বেশি করে চাই। কারণ, এখানে তো সেগুলোর অস্তিত্বই নেই।’
সতর্ক আশাবাদ

আরও পড়ুননিউইয়র্কের এত ইহুদি কেন জোহরান মামদানির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন০১ নভেম্বর ২০২৫

তবে যাঁরা নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন, তাঁদের কাছে মূল প্রশ্ন—মামদানি কি সত্যিই জীবনযাত্রার ব্যয়ের এই সংকট কাটাতে পারবেন? ৩২ বছর বয়সী ডিলন রবার্টসনের জন্য অর্থনৈতিক উদ্বেগ যেন জীবনের স্থায়ী সঙ্গী।  স্নাতক শেষে তাঁর শিক্ষাঋণ দাঁড়াবে প্রায় আড়াই লাখ ডলার। মামদানিকে সমর্থন করছেন রবার্টসন।

কারণ, তাঁর প্রস্তাবিত ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনাগুলো জীবনকে কিছুটা সহজ করতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি সংশয়ও প্রকাশ করেন। ডিলন বলেন, ‘মামদানি যা বলছেন, সবই শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু আমি ভাবি, তিনি কি সত্যিই পারবেন? বাস্তবে কি তা সম্ভব? নাকি এটা যেন ফুটো জাহাজে শুধু ব্যান্ডেজ লাগানোর মতো?’
তবু ডিলন স্বীকার করেন. যদি বিকল্প হয়, আগের মতোই টেনে নেওয়া অথবা কিছু নতুন চেষ্টা করা, তাহলে তিনি নতুনটাকেই সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ