বুধবার অ্যাপলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠান, নতুন আইফোন আসবে কি
Published: 17th, February 2025 GMT
প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে নতুন মডেলের আইফোন আনার ঘোষণা দিয়ে থাকে অ্যাপল। তবে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই নতুন মডেলের আইফোন উন্মুক্ত করতে পারে অ্যাপল। এ বিষয়ে অ্যাপল সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না জানালেও ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন পণ্য উন্মোচনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই এই অনুষ্ঠানেই ‘এসই ৪’ মডেলের নতুন আইফোনসহ বিভিন্ন পণ্যের ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি টিজার প্রকাশ করেছেন। সেখানে বিশেষ গ্রেডিয়েন্ট টোনে অ্যাপলের লোগো দেখা গেছে। টিজারে ১৯ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ থাকায় সেদিনই অ্যাপলের নতুন মডেলের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা আসতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে প্রযুক্তিবিশ্বে। শুধু তা-ই নয়, নতুন আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন নিয়েও প্রযুক্তিবিশ্বে চলছে তুমুল জল্পনাকল্পনা।
আরও পড়ুনঅ্যাপলের পণ্যের নামের শুরুতে ‘আই’ লেখা থাকে কেন০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রতিবছরের মতো এবারও অ্যাপল আগে ধারণ করা ভিডিওর মাধ্যমে নতুন পণ্য উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি আইফোন এসই ৪-এর ঘোষণা আসে, তবে এটি হবে এসই সিরিজের সবচেয়ে বড় আপগ্রেড। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের নতুন মডেলের আইফোনটিতে প্রথমবারের মতো টাচ আইডির পরিবর্তে ফেস আইডি প্রযুক্তি যুক্ত করা হতে পারে। এত দিন অ্যাপলের এসই সিরিজের ফোনে হোম বাটন ও টাচ আইডি থাকলেও এবার সেটি পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হবে।
আরও পড়ুনআইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব দ্বিগুণ করতে অ্যাপলের ৩ পরামর্শ১৫ জানুয়ারি ২০২৫গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, আইফোন এসই ৪ মডেলে অ্যাপলের হালনাগাদ এ১৮ প্রসেসর থাকতে পারে। এর ফলে আইফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)–সমর্থিত নতুন সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। ক্যামেরাতেও পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন আইফোনের সম্ভাব্য দাম হতে পারে ৫০০ ডলার। এর ফলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হবে আইফোনের।
সূত্র: নিউজ ১৮
আরও পড়ুনযে ভুলের কারণে আইফোনের ক্ষতি হতে পারে, জানাল অ্যাপল২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইফ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।