ট্রাম্পের পদক্ষেপে উদ্বেগে ইউরোপের নেতারা
Published: 17th, February 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপে ইউরোপের নেতাদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই আলোচনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছেন ইউরোপের নেতারা। তারা মনে করেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যতের সঙ্গে ইউরোপের স্বার্থ যে জড়িত, তা ট্রাম্পকে অবহিত করা জরুরি। এ নিয়ে তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার প্যারিসে বসে জরুরি শীর্ষ সম্মেলন। এতে অংশ নেয় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন ও ডেনমার্ক।
অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া। মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। অনেক বছর পর দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সরাসরি আলোচনা এটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইতোমধ্যে রিয়াদে পৌঁছেছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ।
ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে চলতি মাসের শেষের দিকে বৈঠক করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই বৈঠকের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছেন, এই আলোচনা হবে শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের একার সিদ্ধান্ত কিয়েভ কখনও মেনে নেবে না। তিনি ইউরোপকে নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামরিকভাবে স্বাধীন হওয়ার আহ্বানও জানান জেলেনস্কি।
ইউরোপের নেতারা চাচ্ছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাবসানের আলোচনায় যাতে ইউক্রেন ও ইউরোপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় অগ্রাধিকার পায়। এ জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তারা চান, ইউক্রেনে যুদ্ধাবসানের আলোচনায় ইউক্রেনকে অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। ইউরোপীয় নেতারা মনে করেন, ইউক্রেন যেন মনে না করে তারা একা। এমন পরিস্থিতিতে আজ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রয়োজনে তাঁর দেশ সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।
এদিকে প্যারিস জরুরি সম্মেলনের পর কেয়ার স্টারমার ওয়াশিংটন সফর করার পরিকল্পনা করছেন। বিবিসি বলছে, এই সফরটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নতুন সেতুবন্ধ তৈরি করতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের প্রধান মার্ক লিওনার্ড বলেছেন, ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাজ্য একটি দায়িত্বশীল অংশীদার– এ বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারেন স্টারমার। এতে ইউক্রেনে যুদ্ধাবসানে আলোচনার ক্ষেত্র প্রসারিত হতে পারে।
শিগগির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প
ট্রাম্প রোববার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগির দেখা করবেন। তবে কোনো সময় নির্ধারণ হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে চান। ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। তারা হিটলার ও নেপোলিয়নকে পরাজিত করেছে। এখনও তারা যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, পুতিন এখন লড়াই বন্ধ করতে চান। পুতিন সমগ্র ইউক্রেন দখল করতে চান মনে করেন কিনা– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাই যদি হয় তাহলে এটা আমার জন্য একটি বড় সমস্যা।
রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনায় কী থাকবে
আলজাজিরা জানিয়েছে, সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আলোচনা সম্পর্কে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ কিছু মন্তব্য করেছেন। এতে আলোচনার বিষয়বস্তু ফুটে উঠেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পারস্পরিক উত্তেজনার অবসান চান পুতিন-ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু হওয়া দরকার এ ব্যাপারে দুই প্রেসিডেন্ট একমত। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধাবসানের আলোচনায় ইউক্রেনকে আঞ্চলিকভাবে কোনো ছাড় দেওয়ার চিন্তা রাশিয়ার নেই।
মস্কো নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাবে দিশেহারা ন্যাটো
ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠক হয়েছিল। কাগজে-কলমে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা এবং নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বাগত জানানোই ছিল ওই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবে এটি ছিল এমন একটি দিন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় তিন বছর চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ন্যাটোর দৃষ্টিভঙ্গিকে পুরোপুরিভাবে উল্টে দিয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এনেছে, যা মস্কোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবির পক্ষে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। ন্যাটোর জন্য সামনের দিনগুলো যে মসৃণ হবে না, আগে থেকেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল। ইউক্রেনের অনুকূল শান্তি চুক্তির প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিয়ে ট্রাম্প তাঁর কূটনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের শুরু করেছেন।
রাশিয়ার প্রধান তেল পাইপলাইনে ড্রোন হামলা
রাশিয়ার প্রধান তেল পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সাতটি বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন কাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়ামের একটি পাম্পিং স্টেশনে আঘাত করেছে। এই পাইপলাইনে কৃষ্ণসাগরের মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপসহ দক্ষিণ রাশিয়াজুড়ে তেল রপ্তানি করা হয়। কিয়েভ তিন বছরের যুদ্ধে প্রায়ই রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো টার্গেট করে হামলা চালিয়ে আসছে। ইউক্রেনের লক্ষ্য, জ্বালানি বিক্রি করে যাতে মস্কো বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে না পারে। এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, রুশ বাহিনী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ৯০টি ইউক্রেনের ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনে ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রাতভর রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন পরর ষ ট রমন ত র ইউর প র ন ত ইউক র ন য ইউক র ন র বল ছ ন মন ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীর কৃষকেরা কেন হাইব্রিড ধানবীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন
দুই একর জমিতে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ জাতের ধান চাষ করেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা এলাকার কৃষক মো. মোস্তফা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি উদ্ভাবিত এই জাতের প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৯ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন, যা বাজারে থাকা যেকোনো হাইব্রিড ধানের চেয়ে বেশি।
নিজের খেতে চোখজুড়ানো সোনালি ধান দেখে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত কৃষক মোস্তফা। কারণ, বাজার থেকে কেনা হাইব্রিড ধান থেকে বীজ করা যায় না। কিন্তু ব্রি উদ্ভাবিত এই ধান থেকে অনায়াসে বীজ তৈরি করতে পারবেন তিনি। এতে থাকবে না বীজ কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তা। সেই সঙ্গে ধানগুলো জিংকসমৃদ্ধ হওয়ায় পরিবারের জিংকের ঘাটতিও দূর হবে। মোস্তফা বলেন, আগামী দিনে তিনি আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এই ধান চাষ করবেন।
মোস্তফার মতো একই এলাকার আরেক কৃষক ওমর ফারুকও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ব্রি-৯২ চাষ করেছেন দুই একর জমিতে। বীজ ও সারসহ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৬২ হাজার টাকা। খেতের ধান এরই মধ্যে পাকা শুরু করেছে। ফলনের যে অবস্থা দেখছেন, তাতে মনে হচ্ছে, একরে ফলন হবে কমপক্ষে ১৭০ মণ। যার বাজারমূল্য দেড় লাখ টাকার বেশি।
ওমর ফারুকের খেতে ব্রির এই উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ দেখে এরই মধ্যে আশপাশের এলাকার অনেক কৃষক যোগাযোগ করেছেন বীজ নেওয়ার জন্য। কারণ, তাঁরা হাইব্রিড চাষ করে ঝুঁকিতে পড়তে চান না। নিজের বীজে নিজেই স্বয়ংসম্পন্ন হতে চান। তাই ওমর ফারুক ঠিক করেছেন, উৎপাদিত ধান থেকে ২৫ মণ রেখে দেবেন বীজের জন্য। এই বীজ বিক্রি করে বাড়তি আয় হবে তাঁর।
শুধু কৃষক হাজি মোস্তফা কিংবা ওমর ফারুকই নন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। পাচ্ছেন হাইব্রিড ধানের চেয়েও বেশি ফলন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক মাহফুজা বেগম ও আশরাফ হোসেন দম্পতির খেতে চাষ করা ডায়াবেটিক রোগীদের সহনীয় ব্রি-১০৫ জাতের ধানের ফলন পাওয়া গেছে হেক্টরপ্রতি ৮ দশমিক ২ টন, যা বাজারের হাইব্রিড বীজের সমান। এই ধানেরও বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন কৃষকেরা।
চলতি বোরো মৌসুমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে নতুন জাতের ব্রি ধানের ৪৯০টি প্রদর্শনী খামার করেছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে এসব প্রদর্শনীতে ব্রি উদ্ভাবিত ৮ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এই জাতের ধানগুলো উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।
কৃষকেরা জানান, এত দিন তাঁরা বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ও দেশীয় উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধানের বীজ কিনে আবাদ করে আসছেন। এবার এসবের বাইরে ব্রি উদ্ভাবিত উফশী ২৮, ২৯, ৫০ ও ৫৫ ধান আবাদ করেছেন অনেকে। এর মধ্যে হাইব্রিড বীজের প্রতি কেজির দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। আর ব্রির উফশী ধানের বীজ ৫০-১০০ টাকায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রতি একর জমিতে চাষ করতে হাইব্রিড ধানের বীজ লাগে ৬ কেজি এবং উফশী জাতের বীজ লাগে ১০ কেজি। এসব বীজের মধ্যে হাইব্রিড প্রতি একরে উৎপাদন হয় ৯০ মণ, উফশী (উচ্চ ফলনশীল) ব্রি-২৮, ২৯, ৫০ ও ৫৫ উৎপাদন হয় ৭০-৭৫ মণ।
পিকেএসএফের কৃষি ইউনিট পরিচালিত সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষিবিদ শিবব্রত ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের ৯৫ শতাংশ কৃষক বোরো মৌসুমে মূলত বাজারের হাইব্রিড ধানের ওপর নির্ভর থাকেন। আর দেশীয় উদ্ভাবিত ব্রি ধান জাত আবাদ করেন মাত্র ৫ শতাংশ কৃষক। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, হাইব্রিড ধান রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এতে অনেক কৃষকই লোকসানের মুখে পড়ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন ব্রি-ধানগুলোর ফলন হাইব্রিডের মতো ফলন দেয় এবং কিন্তু রোগবালাই নেই বললেই চলে। এতে কৃষকের খরচ কমে। লাভ হয়, আর বীজও থাকে নিজের হাতে।
ব্রির উচ্চফলনশীল জাতের নতুন জাতের ধান চাষের কথা বলতে গিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মীরা রানী দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ব্রি-উদ্ভাবিত বিভিন্ন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ধানগুলো চাষাবাদে কৃষকদের মধ্যে তাঁরা ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করছেন। এর প্রধান কারণ হলো, এসব ধান চাষ করলে একদিকে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে কৃষকেরা নিজেরা নিজেদের বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। তা ছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত এসব ধানে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হাইব্রিডের তুলনায় কম এবং ফলন হাইব্রিডের সমান কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে হাইব্রিড থেকেও বেশি।
এ বিষয়ে ব্রির ফেনীর সোনাগাজীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্রি এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত আবিষ্কার করেছে। আগে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল খাদ্যের অভাব দূর করা, ফলন বাড়ানো। বর্তমানে আমাদের উদ্দেশ্য খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা। খাবার যাতে পুষ্টিমানসম্পন্ন হয়। অধিকাংশই আমিষ ও ভিটামিনের উৎস মাছ, মাংস, ডিম এবং ফলমূল। কিন্তু এসব সবাই কিনে খেতে পারেন না। যেহেতু ভাত প্রধান খাদ্য, এখন আমাদের যে জাতগুলো, এগুলো উদ্ভাবনে পুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।’ নতুন জাতগুলো পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই সঙ্গে হাইব্রিডের প্রতি নির্ভরতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তাঁরা আশা করছেন।