Samakal:
2025-11-04@02:44:37 GMT

কবিতা

Published: 17th, February 2025 GMT

কবিতা

অতৃপ্ত প্রহর
আলমামুন হোসেন

তোমার অপেক্ষার অতৃপ্ত প্রহরে 
দলছুট বাহিরমুখো তীর্থের কাক–
নিবু নিবু পিদিমের ব্যথাতুর হৃদয়,
অন্ধকারে মিলিয়ে যায় আশার যত বায়না।
জোনাকির সব আলো কেঁদে ওঠে 
দূরের কোনো এক আগন্তুকের পথ চেয়ে–
সাড়া মেলে না হাজারো রাতের শেষে, 
অচেনা ভোরের নিষ্ফল আবেদনে।
কতদূর তোমার অপেক্ষার রাজ্য?
কতটা পথ হাঁটতে হবে বন্ধুর সিঁড়ি বেয়ে?
অজস্র প্রশ্নের উত্তর মেলে না লড়াইয়ের ময়দানে, 
আলো এবং আলেয়ার অনিশ্চিত যাত্রাপথে।

 

গোধূলির রং
আনজানা ডালিয়া

ফাগুনের কোনো এক বিকেলে 
সব অভিমান, সব সীমারেখা ভেঙে
তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াব 
খুঁজো না বসন্ত, 
খুঁজো না কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি,
কোকিলের ডাকে হইও না আনমনা।
তোমার আমার খুনসুটিতে হেসে উঠবে
বুনোফুলগুলো
গোধূলির রং মেখে নেব ঠোঁটে
কিছু অনুচ্চারিত শব্দে মেলাব জীবনের সমীকরণ।

 

একুশ মানে
মাসুদুর রহমান শাওন

একুশ মানে আমার মায়ের ভাষার অহংকার,
আমার ভাইয়ের রক্তে জ্বলা জাগ্রত হুংকার।
একুশ মানে মাথা তুলে বাঁচার দৃপ্ত পণ,
রক্তচক্ষু রুখে দেবার শপথ আমরণ।

একুশ মানে স্লোগান শোভিত পায়ে পায়ে মিছিল,
অধিকার আদায়ে রাজপথটা রক্তে করা পিছিল।
একুশ মানে উত্তাল ঢেউয়ে যুদ্ধে যাবার নেশা,
বুকের ভেতর তপ্ত আগুন বারুদে পুরো ঠাসা।

আমার কাছে একুশ মানে স্বাধীন হবার ডাক,
রৌদ্রজ্বলা ঝাঁজালো দুপুরে ডানা ঝাপটার হাঁক।
চাষার চোখে সোনালি ভোরের সকাল দেখার স্বপন,
একুশ মানে মজুর-যুবার ইচ্ছে বুকে লালন।

একুশ বোঝায় অন্যায় সব দু’পায়ে মাড়িয়ে চলা,
শাসক নামের শোষক শ্রেণির পতন করার খেলা।
একুশ মানে আপন চোখে আকাশ দেখার স্বাদ,
একুশ মানে ন্যায়ের তরে উঁচিয়ে তোলা হাত।

 

বসন্ত উল্লাস 
নকুল শর্ম্মা

বিরহি কোকিলের কণ্ঠে বসন্ত বার্তা–
মহুয়ার বনে মৃদুমন্দ বাতাসের লুকোচুরি,
অব্যক্ত হৃদয় পাখা মেলে প্রিয়ার সান্নিধ্যে।
ঝরাপাতার নীরব কান্নার অবসান–
নতুন কুঁড়ি ঘোমটার চাদর করেছে ছিন্ন,
বসন্ত আলোর উল্লাসে নাচে মিষ্টি প্রজাপতি দল।

আকাশের সীমানায় হাজারো রঙের খেলা–
ফুলের আলপনায় সেজেছে প্রকৃতির ক্যানভাস,
অপার সৌন্দর্যের মাধুরী প্রাণের পরতে পরতে। 
রিক্ততার দিনশেষে পূর্ণতার আগমনী–
বসন্তবাহারে দিকে দিকে ভালোবাসার বন্দনা,
সুখের সমুদ্রে বিগত দিনের যন্ত্রণার বিসর্জন।

 

তোমার চোখে রেখেছি জমা
জহিরুল হক বিদ্যুৎ

এ প্রাণময় উচ্ছ্বাস, সুরভিত বসন্তবেলা
পুষ্প-পল্লবে সাজে বৃক্ষের আড়ং সম্ভার।
নবযৌবনে গেয়ে ওঠে প্রেমের পদাবলি
থেমে যায় বনজুড়ে ঝরাপাতার আর্তনাদ!
পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার বনে রক্তরাঙা হিন্দোল
ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন, জলের শিঞ্জন
যুগল হৃদয়ে ওঠে কম্পন উতলা মন উন্মন,
অনূঢ়ার চোখে প্রীতিময় লাজুক সম্ভাষণ।
এ এক কাব্যময় লগন ঋতুরাজ বসন্তবেলা
পাপিয়ার পিউ পিউ, কোকিলের কুহুতান
পুষ্প মঞ্জরিতে আলোর নাচন মায়াবী মগন
নিশ্চুপ রাতের আকাশে স্নিগ্ধ নক্ষত্রের মেলা।
দখিনা মলয়ে নাতিশীতোষ্ণ বসন্তের দ্বারে
এতসব আয়োজন, এত রূপ রস গল্পে ভরা
একটি প্রেমময় গোলাপি রোদের বিকেল
তোমার চোখে রেখেছি জমা, হে প্রিয়তমা!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক শ ম ন বসন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে নাটোরে রাজন সমর্থকদের প্রতিবাদ

নাটোরের লালপুরে মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিত ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনের সমর্থকরা প্রতিবাদ করেন। এসময় বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কের লালপুর উপজেলার কদমচিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের নাম ঘোষণা করা হয়।

মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই এ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জিল্লুর রহমান নামে এক সমর্থক আহত হন। এরপরই রাজনের কর্মী-সমর্থকরা লালপুর উপজেলার কদমচিনাল এলাকার বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। 

এসময় মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এ ঘটনায় ড. ইয়াসির আরশাদ রাজনকে ফোন করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘মহাসড়কের মাঝে টায়ারে আগুন ধরিয়েছিল কিছু লোকজন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’’

ঢাকা/আরিফুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ