Samakal:
2025-09-18@03:39:28 GMT

কবিতা

Published: 17th, February 2025 GMT

কবিতা

অতৃপ্ত প্রহর
আলমামুন হোসেন

তোমার অপেক্ষার অতৃপ্ত প্রহরে 
দলছুট বাহিরমুখো তীর্থের কাক–
নিবু নিবু পিদিমের ব্যথাতুর হৃদয়,
অন্ধকারে মিলিয়ে যায় আশার যত বায়না।
জোনাকির সব আলো কেঁদে ওঠে 
দূরের কোনো এক আগন্তুকের পথ চেয়ে–
সাড়া মেলে না হাজারো রাতের শেষে, 
অচেনা ভোরের নিষ্ফল আবেদনে।
কতদূর তোমার অপেক্ষার রাজ্য?
কতটা পথ হাঁটতে হবে বন্ধুর সিঁড়ি বেয়ে?
অজস্র প্রশ্নের উত্তর মেলে না লড়াইয়ের ময়দানে, 
আলো এবং আলেয়ার অনিশ্চিত যাত্রাপথে।

 

গোধূলির রং
আনজানা ডালিয়া

ফাগুনের কোনো এক বিকেলে 
সব অভিমান, সব সীমারেখা ভেঙে
তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াব 
খুঁজো না বসন্ত, 
খুঁজো না কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি,
কোকিলের ডাকে হইও না আনমনা।
তোমার আমার খুনসুটিতে হেসে উঠবে
বুনোফুলগুলো
গোধূলির রং মেখে নেব ঠোঁটে
কিছু অনুচ্চারিত শব্দে মেলাব জীবনের সমীকরণ।

 

একুশ মানে
মাসুদুর রহমান শাওন

একুশ মানে আমার মায়ের ভাষার অহংকার,
আমার ভাইয়ের রক্তে জ্বলা জাগ্রত হুংকার।
একুশ মানে মাথা তুলে বাঁচার দৃপ্ত পণ,
রক্তচক্ষু রুখে দেবার শপথ আমরণ।

একুশ মানে স্লোগান শোভিত পায়ে পায়ে মিছিল,
অধিকার আদায়ে রাজপথটা রক্তে করা পিছিল।
একুশ মানে উত্তাল ঢেউয়ে যুদ্ধে যাবার নেশা,
বুকের ভেতর তপ্ত আগুন বারুদে পুরো ঠাসা।

আমার কাছে একুশ মানে স্বাধীন হবার ডাক,
রৌদ্রজ্বলা ঝাঁজালো দুপুরে ডানা ঝাপটার হাঁক।
চাষার চোখে সোনালি ভোরের সকাল দেখার স্বপন,
একুশ মানে মজুর-যুবার ইচ্ছে বুকে লালন।

একুশ বোঝায় অন্যায় সব দু’পায়ে মাড়িয়ে চলা,
শাসক নামের শোষক শ্রেণির পতন করার খেলা।
একুশ মানে আপন চোখে আকাশ দেখার স্বাদ,
একুশ মানে ন্যায়ের তরে উঁচিয়ে তোলা হাত।

 

বসন্ত উল্লাস 
নকুল শর্ম্মা

বিরহি কোকিলের কণ্ঠে বসন্ত বার্তা–
মহুয়ার বনে মৃদুমন্দ বাতাসের লুকোচুরি,
অব্যক্ত হৃদয় পাখা মেলে প্রিয়ার সান্নিধ্যে।
ঝরাপাতার নীরব কান্নার অবসান–
নতুন কুঁড়ি ঘোমটার চাদর করেছে ছিন্ন,
বসন্ত আলোর উল্লাসে নাচে মিষ্টি প্রজাপতি দল।

আকাশের সীমানায় হাজারো রঙের খেলা–
ফুলের আলপনায় সেজেছে প্রকৃতির ক্যানভাস,
অপার সৌন্দর্যের মাধুরী প্রাণের পরতে পরতে। 
রিক্ততার দিনশেষে পূর্ণতার আগমনী–
বসন্তবাহারে দিকে দিকে ভালোবাসার বন্দনা,
সুখের সমুদ্রে বিগত দিনের যন্ত্রণার বিসর্জন।

 

তোমার চোখে রেখেছি জমা
জহিরুল হক বিদ্যুৎ

এ প্রাণময় উচ্ছ্বাস, সুরভিত বসন্তবেলা
পুষ্প-পল্লবে সাজে বৃক্ষের আড়ং সম্ভার।
নবযৌবনে গেয়ে ওঠে প্রেমের পদাবলি
থেমে যায় বনজুড়ে ঝরাপাতার আর্তনাদ!
পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার বনে রক্তরাঙা হিন্দোল
ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন, জলের শিঞ্জন
যুগল হৃদয়ে ওঠে কম্পন উতলা মন উন্মন,
অনূঢ়ার চোখে প্রীতিময় লাজুক সম্ভাষণ।
এ এক কাব্যময় লগন ঋতুরাজ বসন্তবেলা
পাপিয়ার পিউ পিউ, কোকিলের কুহুতান
পুষ্প মঞ্জরিতে আলোর নাচন মায়াবী মগন
নিশ্চুপ রাতের আকাশে স্নিগ্ধ নক্ষত্রের মেলা।
দখিনা মলয়ে নাতিশীতোষ্ণ বসন্তের দ্বারে
এতসব আয়োজন, এত রূপ রস গল্পে ভরা
একটি প্রেমময় গোলাপি রোদের বিকেল
তোমার চোখে রেখেছি জমা, হে প্রিয়তমা!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক শ ম ন বসন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ