এক দিনেই মেসির তিন ছেলের হাতে ট্রফি, চিরোর অবিশ্বাস্য ‘মেসি’ গোল
Published: 18th, February 2025 GMT
বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সব বড় শিরোপাই এসেছে লিওনেল মেসির পরিবারে। তবে এরপরও আজকের দিনটা বোধ হয় মেসি পরিবারের জন্য অন্যরকম এক আনন্দের। নাহ, মেসি নতুন করে কোনো শিরোপা জেতেননি। মেসির ঘরে এবার একদিনেই শিরোপা জিতেছেন তাঁর তিন ছেলে।
মেসির বড় ছেলে থিয়াগো মেসি ওয়েস্টন কাপের শিরোপা জিতেছে অনূর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে। দ্বিতীয় ছেলে মাতেও মেসি শিরোপা জিতেছেন অনূর্ধ্ব-১১ দলের হয়ে এবং ছোট ছেলে চিরো মেসি জিতেছেন খুদে দলের হয়ে। মেডেল পরা এবং ট্রফি হাতে সন্তানদের সঙ্গে মেসিসহ নিজের ছবি পোস্ট করেছেন আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো।
শুধু এটুকুই নয়, একই দিন মেসির ছোট ছেলের চিরোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় ফেলেছে। সেই ভিডিওতে মেসিকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো একটি গোল করতে দেখা যায় চিরোকে।
আরও পড়ুনমেসির ছেলের ১১ গোলের খবর ভুয়া০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভিডিওতে দেখা যায় মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে প্রতিপক্ষের বক্সকে লক্ষ্য করে বল নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেছে চিরো। শুরুতে বাধা দিতে আসা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে পেরিয়ে যায় মেসির ছোট ছেলে।
কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পর তাকে আটকানোর জন্য এগিয়ে আসে আরেকজন। তবে পাত্তা পায়নি দ্বিতীয়জনও। তাকেও ড্রিবল করে পেরিয়ে যায় চিরো। এরপর শেষ মুহূর্তে আরও একজন পাশ থেকে পা বাড়িয়ে চেষ্টা করে চিরোকে থামানোর, তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।
এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে মেসিসুলভ ভঙ্গিতে আলতো ছোঁয়ায় বল বাড়িয়ে দেয় পোস্টের দিকে। বল জালে জড়াতেই মেতে ওঠে উদ্যাপনে। বাবাকে মনে করিয়ে দেওয়া চিরোর এই গোলে অবশ্য একটি পার্থক্য আছে মেসির সঙ্গে। এমন অসাধারণ গোলগুলো মেসি সাধারণত বাঁ পায়ে করলেও, চিরো করেছে ডান পায়ে।
আরও পড়ুননাম চিরো মেসি০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮কদিন আগে মেসির বড় ছেলে থিয়াগোর ১১ গোল করার ভুয়া ফটো কার্ড ভাইরাল হওয়াকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার অবশ্য শিরোপা জেতার ঘটনাকে ভুয়া হওয়ার সুযোগ নেই। শিরোপা হাতে ছেলেদের মেডেল পরা ছবি যে রোকুজ্জো নিজেই পোস্ট করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি