কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মহাসড়কটির রায়পুর থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ধারাবাহিক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের রাজারহাট এলাকা থেকে ধীতপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ছিলেন তাঁরা।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও যানবাহনের চালকেরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে আজ সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মহাসড়কের আমিরাবাদ নামক স্থানে ঢাকাগামী ইকোনো পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময় মহাসড়কের হরিপুর নামক স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ট্রাকের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। কিছুটা দূরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। একই স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। সকাল সোয়া সাতটার দিকে জিংলতালী সেতুর কাছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইমপিরিয়াল এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।

সূত্রগুলো আরও জানায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মহাসড়কের ধীতপুর নামক স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সিডিএম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। একই স্থানে চান্দিনার নবাবপুর থেকে ঢাকাগামী অনির্বান পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়ে মহাসড়কের রায়পুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী পণ্যবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁর সহকারী, যাত্রী ও রোগী আছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনার পরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ