মর্গ্যান গার্লস স্কুলের অনিয়ম, দুর্নীতি ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার : রিয়াদ
Published: 18th, February 2025 GMT
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিগত সময়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১ম সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ ।
মঙ্গলবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের দেওভোগ পাক্কারোড়ের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।
রাফি উদ্দিন রিয়াদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর দাতা সদস্যের জন্য ৩ লক্ষ টাকা জমা দেই। জমা দেওয়ার পরে একটা পক্ষ আমাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল এবং অপপ্রচার শুরু করে।
আমি যদি এইখানে স্কুলের দায়িত্বে আসি তাহলে তাদের বিভিন্ন ধরনের যে কুকর্ম এবং তাদের যে সেন্টিকেট ব্যবসা তা বন্ধ হয়ে যাবে। সদস্য ফর্ম জমা দেওয়ার পর আমি একবার স্কুলে যাই এবং সেখানে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা উনার নিকট নির্বাচনের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তথ্য চেয়ে একটি তফসিল চেয়েছিলাম তো তিনি তখন সেটি আমাকে দিতে দ্বিধাবোধ করেন।
তিনি বলেন, এরপর হঠাৎ ১৫ই ফেব্রুয়ারি আমি গণমাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল দেখতে পাই এবং ১৬ তারিখ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে দেখা করতে যাই তিনি তখন স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তার সাথে আমার দেখা হয়নি তো ওনার পাশের কক্ষটি ছিল ভারপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষক বিনোদ স্যারের আমি সেই কক্ষে ঢুকে দেখতে পাই সেখানে স্যার নেই বরং দুইজন লোক উনার পক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ভোটার যে লিস্ট তা নিয়ে ভোটারদের ফোন দিচ্ছে।
আমি সাথে সাথে আমার মোবাইল বের করে তাদের ভিডিও নেই সেই মুহূর্তে আমার সাথে তাদের এক প্রকার বাক বিতঙ্গ সৃষ্টি হয় এরপর তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন জানে আলম জানু স্কুলের তার একটি মেয়ে পড়াশোনা করে এবার এসএসসি পরীক্ষা ক্যান্ডিডেট এবং তার বিরুদ্ধে একটি স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করায় মামলা রয়েছে। এবং অপরজন ছিলেন মাসুদ যিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা সদস্য হিসেবে আছেন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র আইবীর মামা।
তিনি নিজেও একজন আওয়ামী লীগের দোসর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার ছবি দেখা যায়। বিষয়টি যখন আমি বিনোদ স্যারকে জিজ্ঞেস করি তিনি তখন উত্তর দিতে পারেন না আমার কথা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের রুমে ঢুকে কিভাবে তারা নির্বাচনী কাগজপত্র নিয়ে এইভাবে নাড়াচাড়া করেন।
তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তার ভাই তাকে ফোন দিয়ে বলেছেন তার সাথে দেখা করে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তিনি সেই উদ্দেশ্যে রেবেকার বাসায় যান এবং তিনি বাসায় না থাকায় সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই চলে আসেন তার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি।
তাকে কোন হুমকি দেওয়া হয়নি বা তার সাথে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার বা তার বাসার কাউকে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। হুমকি দেয়াযর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াত।
তিনি আরো বলেন বিগত সময় গুলোতে স্বৈরাচার সরকার আমলে আওয়ামী লীগের দোসোররা যেভাবে বিভিন্ন কলাকৌশলে বাংলাদেশ অর্থসম্পদ লুটেপুটে খেয়েছেন এখনো ঠিক সেই ভাবেই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিএনপি পরিবারের লোক আমাদেরকে তারা এখনো দমিয়ে রাখতে চায় ।
তারা আমাকে সমাজের পাশে দাঁড়াতে এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করতে বাধা দেয়। তাই আমি সকলের কাছে বলতে চাই আপনারা বিষয়টি দেখবেন এবং যারা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দোসর ছিল তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ব ষয়ট সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চুক্তি বাতিলকারী দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর তার সেই বার্তাটি হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দাঙ্গাবাজ দেশ, যাকে বিশ্বাস করা যায় না।
শুল্ক স্থগিতাদেশের সময় চীন ছাড়া সবদেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ট্রাম্প যে ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা বিদেশী সরকারগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, একবার এই চুক্তিগুলো কার্যকর হয়ে গেলে, তিনি চান মার্কিন মিত্ররা ‘একটি দল হিসেবে চীনের সাথে যোগাযোগ করুক’, যাতে মার্কিন পক্ষ আলোচনায় আরো বেশি সুবিধা পায়।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত মার্কিন মিত্ররা নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করে এবং অর্থনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উৎসাহ রয়েছে। অবশ্য চীন আরো সমান তালে শুল্ক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শেষ বাণিজ্য যুদ্ধের পর থেকে বেইজিং মার্কিন রপ্তানি থেকে তার অর্থনীতিকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটিতে নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী রয়েছে।
শি ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার সরকার ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলছে যে, অন্য পক্ষ, অর্থাৎ চীনকে উত্তেজনা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, চীন নিজেকে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং অন্যান্য দেশকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ জিনবো বলেন, “এটি কেবল চীন-মার্কিন সম্পর্কে নয়। এটি আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে।”
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া উ জানান, অন্যান্য সরকারেরও বুঝতে হবে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা তাদের উপকার করেছে।
তিনি বলেন, “যদি চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে না দাঁড়াত, তাহলে আমেরিকা কীভাবে তাদের ৯০ দিনের বিরতি দিত। চীনের উপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ বন্ধ করার জন্য আবরণ পেয়েছেন। তাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সোমবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে ট্রাম্পের দাবি প্রতিহত করার জন্য বেইজিংয়ের সাথে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আপনি যদি নীরব থাকেন, আপস করেন এবং পিছু হটতে চান, তাহলে এটি কেবল বুলিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।”
তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি সাবটাইটেলসহ একটি ভিডিওতে ওয়াশিংটনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত শতাব্দীতে জাপানি রপ্তানি সীমিত করার মার্কিন পদক্ষেপ তোশিবার মতো কোম্পানিগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াং ই বলেছেন, “একজন ধর্ষকের কাছে মাথা নত করা ঠিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য বিষ পান করার মতো, এটি কেবল সংকটকে আরো গভীর করে তোলে। চীন পিছু হটবে না যাতে দুর্বলদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।”
ঢাকা/শাহেদ