Samakal:
2025-06-16@04:10:31 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

Published: 22nd, April 2025 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ে। মানুষ তখন যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে, তেমনই কষ্ট পায় আমাদের প্রিয় গাছগুলো। তীব্র তাপে গাছের মাটি শুকিয়ে যায়, পাতায় পোড়া দাগ পড়ে, এমনকি শিকড় পর্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু সহজ ও কার্যকর নিয়ম মেনে চললে এ গরমে শখের গাছ প্রাণবন্ত রাখা সম্ভব। 
lঠিক সময়ে গাছে সঠিক অনুপাতে পানি দিন। গরমে গাছের সবচেয়ে বড় চাহিদা পানি। তবে সবকিছুতে যেমন পরিমিতি দরকার, ঠিক তেমনই পানির ক্ষেত্রেও। ভোরবেলা (সকাল ৮টার আগে) কিংবা সূর্য ডোবার পর গাছে পানি দিন। এতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। মাটি যদি ১-২ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত শুকিয়ে যায়, তখনই পানি দিন। 
lমালচিং হলো গাছের মাটির ওপর শুকনো পাতা, খড়, কাঠের গুঁড়া বা নারকেলের ছোবড়া ছড়িয়ে দেওয়া। এটি মাটিকে ঠান্ডা রাখে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং আগাছা জন্মাতে বাধা দেয়। গরমে মালচিং গাছের জন্য যেন এক ধরনের ছাতা– রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচায় শিকড়কে। ২-৩ ইঞ্চি পুরু মালচের স্তরই যথেষ্ট গরমকালীন গাছের জন্য। 
lসব গাছ রোদ সহ্য করতে পারে না। কচি গাছ, ফুলের গাছ বা পাতাবাহার গাছগুলোর জন্য সরাসরি সূর্যরশ্মি ক্ষতিকর। গ্রিন নেট, শেড ক্লথ বা খড়ের চাটাই ব্যবহার করে গাছকে কিছুটা ছায়া দিন। যেসব গাছ টবে আছে, দুপুরের রোদে সেগুলো বারান্দা বা ঘরের ভেতরে রেখে দিন। 
lএ সময় গাছের বেড়ে ওঠার গতি একটু কম থাকে। তাই রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করা ভালো। অতিরিক্ত সার শিকড়ের ক্ষতি করতে পারে। এর বদলে কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট বা পানিমিশ্রিত নিম তেল স্প্রে ব্যবহার করুন। মাসে একবার জৈব সার ব্যবহার করুন। 
lগরমে শুকনা বা রোগাক্রান্ত পাতা ও ডাল গাছের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করে। এগুলো কেটে দিলে গাছের শক্তি সংরক্ষিত থাকে এবং নতুন পাতা গজাতে সুবিধা হয়। একসঙ্গে অনেকটা না কেটে শুধু প্রয়োজনীয় অংশগুলো ছাঁটাই করুন। 
lগরমে বিভিন্ন পোকামাকড় গাছের ওপর হামলা চালায়– যেমন অ্যাফিড, মাকড়সা মাইট বা মিলিবাগ। রাসায়নিক কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করুন নিম তেল, পানিতে মেশানো তরল সাবান কিংবা কুসুম গরম পানি। পাতার নিচে এবং কাণ্ডের অংশে ভালোভাবে স্প্রে করুন। গাছের পোকা আক্রান্ত পাতাগুলো ছাঁটাই করে গাছ থেকে দূরে ফেলবেন। 
lমাটি যেন পানি ধরে রাখার সক্ষম ও ঝরঝরে থাকে, সেদিকেও নজর দিন। কাদা বা খুব শক্ত মাটি হলে তাতে কিছুটা বালু ও জৈব সার মিশিয়ে দিন। গরমে মাটি ফেটে গেলে হালকা কোপ দিয়ে আলগা করে দিন, যাতে বাতাস ঢুকে শিকড় সতেজ থাকে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রযুক্তি কি ডিমেনশিয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে? ৫৭টি ভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে বিস্ময়কর তথ্য

প্রযুক্তির কল্যাণে হুটহাট বড় পরিবর্তন আসা নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির আগে বাসা থেকেও যে অফিস করা সম্ভব, সেটা মানতে চাইতেন না অনেকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোম অফিস হয়েছে স্বাভাবিক। একই ঘটনা ঘটেছে ডিজিটাল দুনিয়ায়। একসময় যেকোনো তথ্য খুঁজে বের করার জন্য শরণাপন্ন হতে হতো সার্চ ইঞ্জিনের; এআই সেই উত্তর সবিস্তারে দিয়ে দিচ্ছে মুহূর্তেই। ফলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শুধু জীবনকে সহজতর করছে না, বাঁচিয়ে দিচ্ছে সময় ও পরিশ্রমও। কিন্তু এই বেঁচে যাওয়া সময় ও পরিশ্রম মস্তিষ্কের ওপর ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলছে?

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ও বেলোর ইউনিভার্সিটির এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, এত দিন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানব মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমার যে গুঞ্জন ভেসে বেড়িয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই। ‘নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ নামে যে হাইপোথিসিস আছে, তার কোনো প্রমাণ নেই গবেষকদের কাছে। বরং পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার তাঁদের স্বাভাবিক স্মৃতিভ্রম অনেকটা স্তিমিত করে।

ডিজিটাল ডিমেনশিয়া কী

২০১২ সালে প্রথম ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন জার্মান স্নায়ুবিজ্ঞানী ও মনোবিদ ম্যানফ্রেড স্পিৎজার। মূলত যে হারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে এবং মানুষ যান্ত্রিক পর্দার সামনে প্রতিদিনের বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছে, তাতে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে অনেকটাই। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোও মনে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেকে। যেমন ফোন নম্বর। একসময় প্রিয়জনের ফোন নম্বর আমাদের মুখস্থ থাকত। এখন ফোন নম্বর ঠাঁই পায় মুঠোফোনের কনটাক্ট লিস্টে। ফোন নম্বর মনে রাখার চেষ্টাই করে না কেউ। আবার অনেকক্ষণ যান্ত্রিক পর্দার সামনে থাকলেও সেখান থেকে শেখার ইচ্ছা থাকে না অনেকের। চোখের সামনে যা আসছে, স্ক্রল করে চলে যাচ্ছে পরের কোনো কনটেন্টে। এতে মনোযোগ হারিয়ে যায় দ্রুত। আর প্রযুক্তির এমন অতিব্যবহার যে স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে, একেই ধরা হয় ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ হিসেবে।

আরও পড়ুনডিজিটাল স্ক্রিন ব্যবহারের সময় ২০-২০-২০ নিয়ম মানাটা কেন জরুরি২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩গবেষণা যা বলছে

প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের ওপর চালানো ৫৭টি ভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়, তার অনেকটাই হ্রাস করে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি কমে আসার আশঙ্কা প্রায় ৫৮ শতাংশে নেমে আসে।

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বরং আরও কিছু সূচকের (যেমন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা) ওপর নির্ভর করে। মজার ব্যাপার হলো, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার থেকেও বেশি কার্যকর প্রযুক্তির ব্যবহার।

তবে এর সবকিছুই নির্ভর করছে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশির ভাগ সময়ই অনলাইনে কাটান ইউটিউব ভিডিও অথবা ফেসবুক স্ক্রল করে। এতে তাঁদের মস্তিষ্কের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে পারে এমন কনটেন্টে তাঁদের মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারলে আনন্দ যেমন পাবেন, তেমনই ডিজিটাল দুনিয়া সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে যাবে। এ ছাড়া অনলাইনের হাজারো গুজব ও উসকানি থেকে মুক্ত থাকবেন তাঁরা।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুনমাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ