Samakal:
2025-08-01@19:02:37 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

Published: 22nd, April 2025 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ে। মানুষ তখন যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে, তেমনই কষ্ট পায় আমাদের প্রিয় গাছগুলো। তীব্র তাপে গাছের মাটি শুকিয়ে যায়, পাতায় পোড়া দাগ পড়ে, এমনকি শিকড় পর্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু সহজ ও কার্যকর নিয়ম মেনে চললে এ গরমে শখের গাছ প্রাণবন্ত রাখা সম্ভব। 
lঠিক সময়ে গাছে সঠিক অনুপাতে পানি দিন। গরমে গাছের সবচেয়ে বড় চাহিদা পানি। তবে সবকিছুতে যেমন পরিমিতি দরকার, ঠিক তেমনই পানির ক্ষেত্রেও। ভোরবেলা (সকাল ৮টার আগে) কিংবা সূর্য ডোবার পর গাছে পানি দিন। এতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। মাটি যদি ১-২ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত শুকিয়ে যায়, তখনই পানি দিন। 
lমালচিং হলো গাছের মাটির ওপর শুকনো পাতা, খড়, কাঠের গুঁড়া বা নারকেলের ছোবড়া ছড়িয়ে দেওয়া। এটি মাটিকে ঠান্ডা রাখে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং আগাছা জন্মাতে বাধা দেয়। গরমে মালচিং গাছের জন্য যেন এক ধরনের ছাতা– রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচায় শিকড়কে। ২-৩ ইঞ্চি পুরু মালচের স্তরই যথেষ্ট গরমকালীন গাছের জন্য। 
lসব গাছ রোদ সহ্য করতে পারে না। কচি গাছ, ফুলের গাছ বা পাতাবাহার গাছগুলোর জন্য সরাসরি সূর্যরশ্মি ক্ষতিকর। গ্রিন নেট, শেড ক্লথ বা খড়ের চাটাই ব্যবহার করে গাছকে কিছুটা ছায়া দিন। যেসব গাছ টবে আছে, দুপুরের রোদে সেগুলো বারান্দা বা ঘরের ভেতরে রেখে দিন। 
lএ সময় গাছের বেড়ে ওঠার গতি একটু কম থাকে। তাই রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করা ভালো। অতিরিক্ত সার শিকড়ের ক্ষতি করতে পারে। এর বদলে কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট বা পানিমিশ্রিত নিম তেল স্প্রে ব্যবহার করুন। মাসে একবার জৈব সার ব্যবহার করুন। 
lগরমে শুকনা বা রোগাক্রান্ত পাতা ও ডাল গাছের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করে। এগুলো কেটে দিলে গাছের শক্তি সংরক্ষিত থাকে এবং নতুন পাতা গজাতে সুবিধা হয়। একসঙ্গে অনেকটা না কেটে শুধু প্রয়োজনীয় অংশগুলো ছাঁটাই করুন। 
lগরমে বিভিন্ন পোকামাকড় গাছের ওপর হামলা চালায়– যেমন অ্যাফিড, মাকড়সা মাইট বা মিলিবাগ। রাসায়নিক কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করুন নিম তেল, পানিতে মেশানো তরল সাবান কিংবা কুসুম গরম পানি। পাতার নিচে এবং কাণ্ডের অংশে ভালোভাবে স্প্রে করুন। গাছের পোকা আক্রান্ত পাতাগুলো ছাঁটাই করে গাছ থেকে দূরে ফেলবেন। 
lমাটি যেন পানি ধরে রাখার সক্ষম ও ঝরঝরে থাকে, সেদিকেও নজর দিন। কাদা বা খুব শক্ত মাটি হলে তাতে কিছুটা বালু ও জৈব সার মিশিয়ে দিন। গরমে মাটি ফেটে গেলে হালকা কোপ দিয়ে আলগা করে দিন, যাতে বাতাস ঢুকে শিকড় সতেজ থাকে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ