Samakal:
2025-05-01@05:48:48 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

Published: 22nd, April 2025 GMT

এ সময়ে গাছের পরিচর্যা

গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ে। মানুষ তখন যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে, তেমনই কষ্ট পায় আমাদের প্রিয় গাছগুলো। তীব্র তাপে গাছের মাটি শুকিয়ে যায়, পাতায় পোড়া দাগ পড়ে, এমনকি শিকড় পর্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু সহজ ও কার্যকর নিয়ম মেনে চললে এ গরমে শখের গাছ প্রাণবন্ত রাখা সম্ভব। 
lঠিক সময়ে গাছে সঠিক অনুপাতে পানি দিন। গরমে গাছের সবচেয়ে বড় চাহিদা পানি। তবে সবকিছুতে যেমন পরিমিতি দরকার, ঠিক তেমনই পানির ক্ষেত্রেও। ভোরবেলা (সকাল ৮টার আগে) কিংবা সূর্য ডোবার পর গাছে পানি দিন। এতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। মাটি যদি ১-২ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত শুকিয়ে যায়, তখনই পানি দিন। 
lমালচিং হলো গাছের মাটির ওপর শুকনো পাতা, খড়, কাঠের গুঁড়া বা নারকেলের ছোবড়া ছড়িয়ে দেওয়া। এটি মাটিকে ঠান্ডা রাখে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং আগাছা জন্মাতে বাধা দেয়। গরমে মালচিং গাছের জন্য যেন এক ধরনের ছাতা– রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচায় শিকড়কে। ২-৩ ইঞ্চি পুরু মালচের স্তরই যথেষ্ট গরমকালীন গাছের জন্য। 
lসব গাছ রোদ সহ্য করতে পারে না। কচি গাছ, ফুলের গাছ বা পাতাবাহার গাছগুলোর জন্য সরাসরি সূর্যরশ্মি ক্ষতিকর। গ্রিন নেট, শেড ক্লথ বা খড়ের চাটাই ব্যবহার করে গাছকে কিছুটা ছায়া দিন। যেসব গাছ টবে আছে, দুপুরের রোদে সেগুলো বারান্দা বা ঘরের ভেতরে রেখে দিন। 
lএ সময় গাছের বেড়ে ওঠার গতি একটু কম থাকে। তাই রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করা ভালো। অতিরিক্ত সার শিকড়ের ক্ষতি করতে পারে। এর বদলে কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট বা পানিমিশ্রিত নিম তেল স্প্রে ব্যবহার করুন। মাসে একবার জৈব সার ব্যবহার করুন। 
lগরমে শুকনা বা রোগাক্রান্ত পাতা ও ডাল গাছের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করে। এগুলো কেটে দিলে গাছের শক্তি সংরক্ষিত থাকে এবং নতুন পাতা গজাতে সুবিধা হয়। একসঙ্গে অনেকটা না কেটে শুধু প্রয়োজনীয় অংশগুলো ছাঁটাই করুন। 
lগরমে বিভিন্ন পোকামাকড় গাছের ওপর হামলা চালায়– যেমন অ্যাফিড, মাকড়সা মাইট বা মিলিবাগ। রাসায়নিক কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করুন নিম তেল, পানিতে মেশানো তরল সাবান কিংবা কুসুম গরম পানি। পাতার নিচে এবং কাণ্ডের অংশে ভালোভাবে স্প্রে করুন। গাছের পোকা আক্রান্ত পাতাগুলো ছাঁটাই করে গাছ থেকে দূরে ফেলবেন। 
lমাটি যেন পানি ধরে রাখার সক্ষম ও ঝরঝরে থাকে, সেদিকেও নজর দিন। কাদা বা খুব শক্ত মাটি হলে তাতে কিছুটা বালু ও জৈব সার মিশিয়ে দিন। গরমে মাটি ফেটে গেলে হালকা কোপ দিয়ে আলগা করে দিন, যাতে বাতাস ঢুকে শিকড় সতেজ থাকে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ