ফ্রিল্যান্সার সেবায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
Published: 22nd, April 2025 GMT
সারাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত ১০ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর জন্য বৈদেশিক অর্থ গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ ও ডিজিটাল করতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক চালু করেছে ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’। ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে সবকিছুই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
বিদেশি অর্থ ও টাকায়– দু’ভাবেই হিসাব খোলা হবে। আয়ের ৩৫ শতাংশ অর্থ বিদেশি অর্থে আর ৬৫ শতাংশ টাকা হিসেবে জমা হবে। জমার বিপরীতে ফ্রিল্যান্সাররা ডেবিট কার্ডের সুবিধা পাবেন, যা দিয়ে দেশে-বিদেশে খরচ করা যাবে। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট গ্রাহকরা ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধা পাবেন।
উদ্যোক্তারা জানান, ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, যা খুলতে কোনো প্রারম্ভিক অর্থ জমা দিতে হবে না। অন্যদিকে, অ্যাকাউন্টে লেনদেন ও অন্যসব কার্যক্রম ব্যাংকে না গিয়ে অ্যাপ থেকেই করা যাবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা.
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা সারাবিশ্বে কাজ করছেন। তারা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছেন। এমন অবদানকে সম্মান জানাতেই ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান লুৎফুল হাবিব বলেন, বাংলাদেশে প্রথম এটিএম, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড চালু করেছি। আমাদের ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক শুধু দেশে নয়, আফ্রিকা থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে ছড়ানো। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট উদ্ভাবনী সেবার ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।