বিশ্ব রেকর্ডের ছড়াছড়ি, ওয়ানডে ক্রিকেট নতুন কিছুর সাক্ষী হলো
Published: 19th, February 2025 GMT
ওয়ানডে ক্রিকেটের পথ চলা শুরু ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওমান মঙ্গলবার ৪ হাজার ৮৪১তম ওয়ানডে খেলতে ওমানে মাঠে নেমেছিল। আইসিসি মেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ লিগ ২ এর খেলা চলছে। যে ম্যাচটায় কেবল নজর ছিল সংশ্লিষ্ট দুই দল ও আয়োজকদের, সেটাই এখন ক্রিকেট বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ফল বের হওয়া ৪ হাজার ৬৭১ ওয়ানডে ম্যাচে যা ঘটেনি, ওমান ও যুক্তরাষ্ট্রের খেলায় তা-ই ঘটেছে। ওয়ানডে ক্রিকেট নতুন কিছুর সাক্ষী হলো। ম্যাচে কোনো ফাস্ট বোলার বোলিং করেননি। অতীতে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। ফল বের হওয়া ম্যাচে ছেলেদের ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন রান করে জয়ের রেকর্ড ভেঙেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল আমেরাতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র ১২২ রান করার পর ওমানকে তারা ৫৭ রানে হারিয়েছে। যা ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম রান করে জয় পাওয়ার নতুন বিশ্ব রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্র ভেঙেছে ভারতের ১৯৮৫ সালের রেকর্ড। সেবার ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে শারজাহতে মাত্র ১২৫ রান করেছিল। স্বল্প পুঁজি নিয়ে দারুণ লড়াই করে ভারত ম্যাচ জিতে নেয় ৩৮ রানে।
দুই দলই স্পিনে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে। ওমানের পাঁচ স্পিনার তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের নয় উইকেট। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের চার স্পিনার নেয় বদলা। যুক্তরাষ্ট্রের ১২২ রানে জবাবে ওমান করতে পারে কেবল ৬৫ রান। কোনো পেসার ছাড়া ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রথম বিরল ঘটনা এটি।
স্পিনাররা ১৯ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা। একমাত্র পেসার হিসেবে ওই ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন শফিউল ইসলাম।
দুই দল মিলে ১৮৭ রান করে ৬১ ওভারে। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ২০১৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের একটি ওয়ানডে শেষ হয়েছিল মাত্র ৪১ ওভারে। দুই দলের মিলিত রান ছিল ১৬৩।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পিনার নস্তুশা প্রদীপ কেনজিগে ৭.
এক ম্যাচ পরই ক্রিকেট বিশ্ব এমন এক ম্যাচ দেখল যেখানে কোনো পেসার বোলিং করার সুযোগই পাননি।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর র কর ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক