ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে
Published: 19th, February 2025 GMT
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই যেন বাড়তি কিছু। মাঠের লড়াই শুরুর আগে শুরু হয়ে যায় কথার লড়াই। ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে ভক্ত; উত্তেজনার পারদ উঠতে থাকে উঁচুতে। নাজমুল হোসেন শান্তদেরও কি এই উত্তেজনা ছুঁয়ে যায়?
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এলে শান্ত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। উত্তেজনার কথা স্বীকার করলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন সব ক্রিকেটারের মনোযোগ থাকে মাঠে।
আরো পড়ুন:
এপ্রিলে হতে পারে অধ্যাপক ইউনূস-মোদি বৈঠক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতকে মির্জা ফখরুল
বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন
“অবশ্যই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা থাকে। আমার মনে হয় প্লেয়াররা এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে না। প্লেয়াররা তাদের পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তাবায়ন করবে এটা নিয়ে বেশি ফোকাস থাকে। মাঠে যত শান্ত থাকা যায় এটা নিয়ে চিন্তা করে সবাই।”
দুবাইয়ের ভেন্যু দুই দলের কাছেই পরিচিত। কন্ডিশনও প্রায় একই। তবে শক্তি বিবেচনায় নিলে ভারত এগিয়ে সব দিক থেকেই। তবুও এই ম্যাচে কি আশা করছে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
“আমি মনে করি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগে ভালো খেলতে হবে। এই সংস্করণে আমরা সবশেষ কয়েকবছর যেভাবে খেলে আসছি, আমি মনে করি আমরা ভালো দল। কন্ডিশন একই আছে, আমরা তৈরি আছি, আগামীকাল ম্যাচে ভালো কিছুর জন্য আশা করছি।”
সবশেষ ভারত সফরে নাহিদ রানা ছিলেন আলোচনার কেন্দে। গতির ঝড় তুলে খাবি খাইয়েছেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে মাঠে নামার আগেই আলোচনায় রানা। শান্তও মনে করেন এই পেসারের উপর বাড়তি নজর থাকার কথা।
“রানা অবশ্যই দেখেন যে রকম বোলিং করছে ওর ওপর একটু বাড়তি নজর থাকবেই। কিন্তু ওকে দেখে কখনো মনে হচ্ছে না যে ও প্রেসারে আছে, ও নরমাল আছে।“
“ঠিকমতো অনুশীলন করে যাচ্ছে, কালকে যদি ওর খেলার সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই সেরাটা দেবে আমি বিশ্বাস করি”-আরও যোগ করেন শান্ত।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।