ঢাকায় নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার মোহম্মদ শুহাদা বিন ওসমানের সাথে মতবিনিময় করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।

মঙ্গলবার ঢাকাস্থ মালেয়েশিয়ান হাইকমিশন কার্যালয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিটির প্রধান ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন, বিচার এবং সংসদবিষয়ক কমিটির প্রধান ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক তার সাথে প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

এর আগে হাইকমিশন অফিসে এবি পার্টির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান দূতাবাসের সহকারী মিজ ওনি।

হাইকমিশনার মোহম্মদ উসমান এবি পার্টি নেতাদের কাছ থেকে গবেষণাভিত্তিক নীতি প্রণয়ন ও সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক কর্মকৌশলের বিষয়ে বিস্তারিত অবগত হন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে প্রচলিত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবর্তে নতুন প্রজন্মের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এবি পার্টিসহ ছাত্র তরুণদের ভূমিকা, মালোয়েশীয় জোটবদ্ধ নির্বাচনী সংস্কৃতি ও প্রক্রিয়ার সাথে বাংলাদেশের সামনের নির্বাচনী হালচাল ইত্যাদি নানা তুলনামূলক বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

এবি পার্টি মালেয়েশীয় সরকারকে বাংলাদেশের শ্রম বাজার খোলার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য হাইকমিশনারের মাধ্যমে অনুরোধ করেন, মোহাম্মদ ওসমান এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন; এর বাইরে শিক্ষাবৃত্তি, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মেডিকেল ট্যুরিজম, রোহিঙ্গা সমস‍্যা সমাধানসহ গুরুত্ত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বৈঠকে উভয়পক্ষ কথা বলেন। এবি পার্টি নেতাদের সাথে মতবিনিময়ালে হাইকমিশনারের সাথে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ফার্স্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসজুয়ান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মতব ন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ