শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ভেবে আসছি: ফেরদৌস আরা
Published: 20th, February 2025 GMT
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ প্রদান করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
চার দশকের বেশি সময় ধরে নজরুল সংগীত চর্চা ও প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য এবং সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন গুণী নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা। পদকটি নিজের পিতাকে উৎসর্গ করেন শিল্পী।
পদকপ্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করে এদিন ফেরদৌস আরা বলেন, “শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি, যাবতীয় কল্যাণ ও ভালোর জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হল একটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি। আমি দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করে আসছি। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার একজন নিরলস যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ভেবে আসছি, এবং ভাবতেও চাই। আমার এই সকল কিছুর পেছনে এবং সংগীত ভুবনে প্রবেশের জন্য যে মানুষটির অবদান আজ না বললেই নয়, তিনি হলেন আমার পিতা। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত বিশারদ এএইচএম আবদুল হাই। আজকে আমাকে যে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হলো, এটি আমি আমার বাবার উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।”
শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫ জনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় এই পুরস্কার পেয়েছেন ‘ছুটির ঘণ্টা’ খ্যাত নির্মাতা আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)। এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন প্রয়াত আজিজুর রহমানের কন্যা আলিয়া রহমান বিন্দি।
ফেরদৌস আরা ছাড়াও এবার সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন উস্তাদ নীরদ বরণ চৌধুরী (মরণোত্তর)। নীরদ বরণ বড়ুয়ার মেয়ে শিল্পী ফাল্গুনী বড়ুয়া পদক গ্রহণ করেন। সশরীরে উপস্থিত হয়ে চিত্রকলা ও আলোকচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই পদক গ্রহণ করেন যথাক্রমে রোকেয়া সুলতানা এবং নাসির আলী মামুন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একাধিক সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।