শান্ত জানালেন যেসব কারণে হেরেছে বাংলাদেশ
Published: 20th, February 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটি নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্য কম ছিল না। কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সম্মিলন ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক লড়াই করে লড়াকু পুঁজি এনে দিলেও সেটা জেতার জন্য যথেষ্ট হয়নি। শুভমান গিলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভারত ২১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।
ম্যাচ শেষে শান্ত অবশ্য জানিয়েছেন যে, ঠিক কোন কোন জায়গায় বাংলাদেশ হেরেছে, ‘‘আমি মনে করি প্রথম পাওয়ার প্লে। সেখানে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি সেখানেই আমাদের ম্যাচটা শেষ হয়ে গেছে। ওই অবস্থা থেকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে রিকভার করা কঠিন। মাঠে অবশ্য আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। বেশ কিছু ক্যাচ ছেড়েছি। রান আউট মিস করেছি। ওই সুযোগগুলো যদি কাজে লাগানো যেত, তাহলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও হতে পারত।’’
তবে হৃদয় ও জাকেরের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক, ‘‘তবে হৃদয় ও জাকের যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেটা ছিল অসাধারণ। এই ধরনের উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা পায়। বল ঘোরে। সেখানে হৃদয় ও জাকের খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি মনে করি না আমাদের স্পিন বোলারের ঘাটতি ছিল। মাহমুদউল্লাহর কিছুটা ইনজুরি রয়েছে। তবে আমাদের পেসাররা কিন্তু খারাপ বোলিং করেনি। যদি আমরা শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পারতাম তাহলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতেও পারত।’’
আরো পড়ুন:
তাওহীদ-জাকেরের লড়াই ছাপিয়ে গিলের সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়
দ্রুততম ১১ হাজারে দ্বিতীয় রোহিত
পরের ম্যাচে সোমবার নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় পরের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।