Prothomalo:
2025-05-01@00:47:12 GMT

তাঁর সংগ্রহে ৮,৮৮২ ধরনের ইট

Published: 21st, February 2025 GMT

মানুষ শখের বশে কত কিছুই না সংগ্রহ করে। কেউ ডাকটিকিট জমায়, কেউ মুদ্রা। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার বাসিন্দা ক্লেম রেইনকেমেয়ারের শখও খানিকটা একই রকম। তবে তিনি যে জিনিস সংগ্রহ করেন, তা শুনে আপনার খানিকটা অদ্ভুত মনে হতে পারে।

রেইনকেমেয়ার ৪০ বছর ধরে নানা প্রকারের ইট সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৮ হাজার ৮৮২ ধরনের ইট। সেগুলোর কোনো কোনোটি কয়েক শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী।

রেইনকেমেয়ারের বয়স ৮৭ বছর। ওকলাহোমার টুলসা শহরে তিনি বসবাস করেন। সেখানেই একটি ঘরে তিনি জমিয়েছেন একের পর এক ইট।

বাবাকে চমক দিতে রেইনকেমেয়ারের মেয়ে সেলিয়া এবং জামাতা ড্যান বিসেট দারুণ এক উদ্যোগ নেন। নিজেদের বন্ধুবান্ধব নিয়ে তাঁরা রেইনকেমেয়ারের জমানো ইট গুনে ফেলেন এবং প্রতি ইট সম্পর্কে আলাদাভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। তারপর সেসব প্রমাণপত্র তাঁরা পাঠিয়ে দেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে।

একদিন রেইনকেমেয়ার বাড়িতে ফিরে একটি সনদ দেখে রীতিমতো বিস্মিত হন। ওই সনদে লেখা আছে, তাঁর সংগ্রহেই এখন সবচেয়ে বেশি ধরনের ইট রয়েছে এবং তিনি এখন একটি বিশ্ব রেকর্ডের মালিক।

পরে রেইকেমেয়ার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘আমি শহরে ফিরে এটা জানতে পারি। এটা অনেক বড় চমক ছিল এবং আমি এই সনদ পেয়ে খুবই খুশি।’

রেইনকেমেয়ারের সংগ্রহে যে ইট আছে, সেগুলোর মধ্যে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ১০০ বছর পরের থেকে গত কয়েক শ বছরের পুরোনো ইটও রয়েছে।

কেন অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে ইট সংগ্রহ করেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রেইনকেমেয়ার বলেন, ইট অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এ কারণে ইটের প্রতি তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

রেইনকেমেয়ার আরও বলেন, ‘ইট সম্পর্কে আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয় তা হলো, সেগুলোর নাম আছে, ইতিহাসের পাতা ধরে আপনি সেগুলো কোথা থেকে এসেছে, তা খুঁজে বের করতে পারবেন এবং এটা সব সময় আমাকে আগ্রহী করে তুলেছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ইনক ম য় র র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ