Prothomalo:
2025-11-02@10:21:13 GMT

তাঁর সংগ্রহে ৮,৮৮২ ধরনের ইট

Published: 21st, February 2025 GMT

মানুষ শখের বশে কত কিছুই না সংগ্রহ করে। কেউ ডাকটিকিট জমায়, কেউ মুদ্রা। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার বাসিন্দা ক্লেম রেইনকেমেয়ারের শখও খানিকটা একই রকম। তবে তিনি যে জিনিস সংগ্রহ করেন, তা শুনে আপনার খানিকটা অদ্ভুত মনে হতে পারে।

রেইনকেমেয়ার ৪০ বছর ধরে নানা প্রকারের ইট সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৮ হাজার ৮৮২ ধরনের ইট। সেগুলোর কোনো কোনোটি কয়েক শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী।

রেইনকেমেয়ারের বয়স ৮৭ বছর। ওকলাহোমার টুলসা শহরে তিনি বসবাস করেন। সেখানেই একটি ঘরে তিনি জমিয়েছেন একের পর এক ইট।

বাবাকে চমক দিতে রেইনকেমেয়ারের মেয়ে সেলিয়া এবং জামাতা ড্যান বিসেট দারুণ এক উদ্যোগ নেন। নিজেদের বন্ধুবান্ধব নিয়ে তাঁরা রেইনকেমেয়ারের জমানো ইট গুনে ফেলেন এবং প্রতি ইট সম্পর্কে আলাদাভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। তারপর সেসব প্রমাণপত্র তাঁরা পাঠিয়ে দেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে।

একদিন রেইনকেমেয়ার বাড়িতে ফিরে একটি সনদ দেখে রীতিমতো বিস্মিত হন। ওই সনদে লেখা আছে, তাঁর সংগ্রহেই এখন সবচেয়ে বেশি ধরনের ইট রয়েছে এবং তিনি এখন একটি বিশ্ব রেকর্ডের মালিক।

পরে রেইকেমেয়ার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘আমি শহরে ফিরে এটা জানতে পারি। এটা অনেক বড় চমক ছিল এবং আমি এই সনদ পেয়ে খুবই খুশি।’

রেইনকেমেয়ারের সংগ্রহে যে ইট আছে, সেগুলোর মধ্যে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ১০০ বছর পরের থেকে গত কয়েক শ বছরের পুরোনো ইটও রয়েছে।

কেন অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে ইট সংগ্রহ করেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রেইনকেমেয়ার বলেন, ইট অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এ কারণে ইটের প্রতি তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

রেইনকেমেয়ার আরও বলেন, ‘ইট সম্পর্কে আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয় তা হলো, সেগুলোর নাম আছে, ইতিহাসের পাতা ধরে আপনি সেগুলো কোথা থেকে এসেছে, তা খুঁজে বের করতে পারবেন এবং এটা সব সময় আমাকে আগ্রহী করে তুলেছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ইনক ম য় র র

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ