হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার দুই দিন ধরে কোনো অবনতি হয়নি। এ সময় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। উন্নতি হলেও ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে—আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদা পারভীনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এরই মধ্যে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসার প্রয়োজনে গতকাল বুধবার বিকেলে ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা আন্তরিকভাবে তাঁর সুস্থতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি খুব ধীরে ধীরে হচ্ছে। এতে যদিও আমরা আশাবাদী হচ্ছি, কিন্তু আবার চিন্তাও রয়ে যাচ্ছে। তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থায় যেকোনো সময় নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন তাঁর জ্ঞানের মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।’

ফরিদা পারভীন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র র ক অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের ওপর হামলা, জবি ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের পদ স্থগিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি মর্যাদার) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ আগামী ১ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর করেন তারা। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ