আন্তর্জাতিক সংস্থায় ঢাকায় চাকরি, বেতন ৯৩ হাজার, দুদিন ছুটি
Published: 21st, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ঢাকায় কান্ট্রি অফিসে ফিন্যান্স অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ই-মেইলে সিভি পাঠাতে হবে।
পদের নাম: ফিন্যান্স অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতক ডিগ্রিসহ ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। বহুজাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা অলাভজনক কোনো সংস্থায় অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের পর্যায়ে অন্তত তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ও মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা থাকতে হবে। দেশ-বিদেশে ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (নবায়নযোগ্য)
কর্মস্থল: ওয়ার্ল্ড কনসার্ন কান্ট্রি অফিস, ঢাকা
বেতন: মাসিক বেতন ৯৩,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে) (দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে)
আরও পড়ুনপ্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বড় নিয়োগ, পদ ১৩৫৮ ঘণ্টা আগেসুযোগ-সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব বোনাস, জীবন বিমা, পিতৃত্ব ও মাতৃত্বকালীন ছুটি, মুঠোফোন বিল, ভ্রমণ ভাতা, সপ্তাহে দুই দিন ছুটিসহ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সব সনদের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও দুটি প্রফেশনাল রেফারেন্সসহ জীবনবৃত্তান্ত [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৮ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুনবেসরকারী সংস্থায় ঢাকায় চাকরি, বেতন ১ লাখ ৪৫ হাজার২০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’