কেউ ফুল দিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কেউ ফুল দিচ্ছেন উপজেলা সদরের শহীদ মিনারে। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুল দিচ্ছে তাদের নিজস্ব স্থায়ী শহীদ মিনারে। কিন্তু গ্রামীণ জনপদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরম শ্রদ্ধা আর মমতা দিয়ে তৈরি করেছেন কলা গাছের তৈরি শহীদ মিনার।

তিনটি কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে র‍্যাপিং পেপারে মুড়িয়ে তাতে লাগিয়েছেন জাতীয় পতাকা। আর এই শহীদ মিনারে সকালে ছাত্র-শিক্ষকরা প্রভাব ফেরি করে এসে ফুল দিয়েছেন।

এসময় প্রভাতফেরির সঙ্গে আসা অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে বাজানো হয় অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’। আজ সকালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের মইশাখালী এলাকার ইত্তেবা স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিত্র এটি।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সামছুল হুদা নাঈম জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি করা হয়। আগে ভাড়া বাড়িতে ছিল। সম্প্রতি নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সামর্থ্যের অভাবে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার করা হয়নি। ফলে শুরু থেকেই কলা গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

তিনি এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শিক্ষার্থীদেরও একই দাবি, সরকার যেন একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ