আমিরাতে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ১২টা ১ মিনিটে (আমিরাতের স্থানীয় সময় ১০টা ১মিনিট) বাংলাদেশ সমিতি শারজার কার্যালয়ে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।

এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ, ইউএই বিএনপি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই, বিএনপির প্রাদেশিক কমিটি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ প্রবাসীরা।

আরো পড়ুন:

রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত

আটকেপড়া ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশি কর্মীকে নিতে রাজি মালয়েশিয়া

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা।

এ সময় ভাষা শহীদদের প্রতি আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আমিরাতের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

পরে আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন শ্রম প্রথম সচিব শাহানাজ পারভিন। পরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এ সময় কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, “এবারের ভাষা দিবসের ভিন্নরকম অনুভূতি রয়েছে। আমরা ৫২ এ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে অধিকার আদায় করেছি। একইভাবে ২৪ এ ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। দেশের সকল ঐতিহাসিক অর্জনকে সম্মান জানাতে হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অধিকারের জন্য লড়তে জানে। আমাদের লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। ৫২, ৭১ সর্বশেষ ২৪ এ লড়াইয়ের মাধ্যমেই বিজয় অর্জন করেছি।”

দূতালয় প্রধান আশফাক হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ সমিতি শারজার সভাপতি এম এ বাশার, ব্যবসায়ী ইয়াকুব সৈনিক, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুনুর রশীদ, রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি সিরাজুল হক, প্রসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ