আরব আমিরাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
Published: 21st, February 2025 GMT
আমিরাতে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ১২টা ১ মিনিটে (আমিরাতের স্থানীয় সময় ১০টা ১মিনিট) বাংলাদেশ সমিতি শারজার কার্যালয়ে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।
এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ, ইউএই বিএনপি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই, বিএনপির প্রাদেশিক কমিটি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ প্রবাসীরা।
আরো পড়ুন:
রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত
আটকেপড়া ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশি কর্মীকে নিতে রাজি মালয়েশিয়া
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা।
এ সময় ভাষা শহীদদের প্রতি আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আমিরাতের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
পরে আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন শ্রম প্রথম সচিব শাহানাজ পারভিন। পরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এ সময় কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, “এবারের ভাষা দিবসের ভিন্নরকম অনুভূতি রয়েছে। আমরা ৫২ এ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে অধিকার আদায় করেছি। একইভাবে ২৪ এ ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। দেশের সকল ঐতিহাসিক অর্জনকে সম্মান জানাতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অধিকারের জন্য লড়তে জানে। আমাদের লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। ৫২, ৭১ সর্বশেষ ২৪ এ লড়াইয়ের মাধ্যমেই বিজয় অর্জন করেছি।”
দূতালয় প্রধান আশফাক হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ সমিতি শারজার সভাপতি এম এ বাশার, ব্যবসায়ী ইয়াকুব সৈনিক, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুনুর রশীদ, রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি সিরাজুল হক, প্রসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী