বাগেরহাট জেলা পরিষদের এককালীন শিক্ষা বৃত্তি
Published: 22nd, February 2025 GMT
বাগেরহাট জেলা পরিষদের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রাজস্ব তহবিলের অর্থায়নে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করবে।
যারা আবেদন করতে পারবেন—২০২৪ সালে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত এবং ২০২৫ সালে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজ/প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫শর্তাবলী—১.
২. আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ -৫.০০ থাকতে হবে।
(আবেদন ফরম-ক এর জন্য প্রযোজ্য)।
৩. আবেদনকারী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যে কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজ/প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সুযোগ
পেয়েছেন তার প্রমাণক সংযুক্ত করতে হবে (আবেদন ফরম-খ এর জন্য প্রযোজ্য)।
৪. আবেদনপত্রের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট/সনদের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
(অধ্যক্ষ/বিভাগীয় প্রধান/প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত) দাখিল করতে হবে।
৫. আবেদনকারীকে অবশ্যই বাগেরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দা মর্মে ইউপি প্রশাসক/পৌর প্রশাসক/যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র এবং আর্থিক অসচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে আবেদন ফরমের ১১ নম্বর ক্রমিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে (আবেদন ফরম ক এর জন্য প্রযোজ্য)।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৬. ২০২৪ সালে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী, যারা এখনও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেননি তারা সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশসহ আবেদন করতে পারবেন।
৭. আবেদন ফরম বাগেরহাট জেলা পরিষদ কার্যালয়/জেলা প্রশাসকের কার্যালয়/সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়াও www.zpbagerhat.gov.bd ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করা যাবে।
৮. আবেদনকারীকে নিজ হাতে ফরম পূরণ করে পূর্ণনামসহ স্বাক্ষর করতে হবে। অসম্পূর্ণ/ক্রুটিপূর্ণ আবেদন সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
৯. এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত করবে।
আবেদনের নির্ধারিত ফরম জমার শেষ তারিখ: ১৬/৩/২০২৫ ।
**বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটি শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চার সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়।
এই এডহক কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা এক শিক্ষার্থীর বাবা। অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে তার সন্তান এ বছর আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে কিভাবে একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এডহক কমিটির সদস্য করা হলো, তা বোধগম্য নয়।
এখানে পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে সদস্য করা হয়েছে। তার উপর সেই শিক্ষার্থী গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। তারা মনে করেন, এমন একজন ব্যক্তি কমিটিতে থাকলে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব দেখা দিতে পারে।
যেখানে বিদ্যালয়ের উন্নতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অভিজ্ঞ ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবকদের সদস্য করা প্রয়োজন, সেখানে একজন দশম শ্রেণীর ফেল করা শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হতাশাজনক।
অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের থাকা উচিত যারা শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিবেদিত থাকবেন।
অভিভাবক সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভবিষ্যৎ পরিচালনা এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অভিভাবকরা গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তা পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সারাদেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলো। কিন্তু অবশেষে তার সীমাহীন অনিময়-দুর্নীতির কারণে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পেছনে বিএনপির বড় অবদান রয়েছে বলে বারবার নিজেদের জাহির করা বিএনপি নেতাদের অনেকেই আবার পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির দিকে হাটছে। বিশেষ করে বন্দরের সর্বত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে একটি পরিবার।
তারা হাট, ঘাট, মাঠ, স্ট্যান্ডের মতো করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের কর্তৃত্ব বহাল রাখতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্কুল এন্ড কলেজেও নিজেদের লোকদের ধরে এনে এডহক কমিটির অন্তর্ভুক্ত করেছে। অনেকটা যেমন খুশী, তেমন সাজো স্টাইলে যাকে খুশী ধরে এনে বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করছে তারা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সায়মা খানমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি, ফলে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অবিলম্বে তারা এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম খান এ বিষয়ে বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে পারবে না।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এডহক কমিটির সদস্য হতে পারবেনা এমন কোনো নিয়ম নেই।
পরবর্তী ২০২৪ সালে ২৫ এপ্রিল গেজেটে বিষয়টি স্পষ্ট আকারে উল্লেখ করা আছে জানালেন তিনি বলেন, তাহলে আমাকে সেই গেজেটটি পাঠান, আমি দেখি। আপনার কাছে সেই গেজেট নেই? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি এই কর্মকর্তা।