সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা পাবে বৃত্তি, আবেদন ফরমে
Published: 22nd, February 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তফসিলী (হিন্দু)/বৌদ্ধ/খ্রীষ্টান/সশস্ত্র বাহিনী/দৃষ্টি প্রতিবন্ধী/প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি ও অটিষ্টিক ব্যতীত)/অটিষ্টিক/উপজাতীয় (ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী) শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তি দেবে। বৃত্তি পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফরম সংগ্রহ করে ফরম নির্ভুলভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণক কাগজপত্র/তথ্যাদিসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত আবেদনপত্র ঢাকা (মিরপুর)/চট্টগ্রাম/কুমিল্লা/বরিশাল/ময়মনসিংহ/রাজশাহী/খুলনা/রংপুর/সিলেটে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক উপপরিচালকের (মাধ্যমিক) কার্যালয়ে এবং একাদশ হতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র বর্ণিত আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে অগ্রায়ণ/প্রেরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে।
ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কোন আবেদন গ্রহণ করা হয় না। তাই শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনপত্র এ কার্যালয়ে দাখিল/প্রেরণ করা হলে তা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনরোমানিয়ায় বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদনের পদ্ধতি জেনে নিন১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফরম নং-১’ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালসমূহে একাদশ হতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফরম নং-২’ পূরণ করে আঞ্চলিক উপপরিচালক/পরিচালক (ঢাকা, মিরপুর/চট্টগ্রাম/কুমিল্লা/বরিশাল/ময়মনসিংহ/রাজশাহী/খুলনা/রংপুর ও সিলেট)-এর কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা আবেদনপত্র অগ্রায়ণ করবেন। বিস্তারিত তথ৵ জানতে ওয়েবসাইট
আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
*শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১৭/০৩/২০২৫।
*প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্রায়ণের শেষ তারিখ: ২৪/০৩/২০২৫।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে প্রস্তুতি কেমন, জেনে নিন ধাপগুলো১৪ এপ্রিল ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।