বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় পার্ক মালিকসহ আহত ৪
Published: 22nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পার্কের প্রবেশ ফি চাওয়ার অপরাধে আওয়ামীলীগ দোসর অয়ন ওসমানের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় পার্ক মালিকসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। জখম প্রাপ্তরা হলো পার্কের মালিক ইলিয়াস হোসেন মিন্টু (৪৭) রিয়াদ (৩১) সৌরভ (৩১) ও ইমরান (২৮)।
স্থানীয়রা জখমপ্রাপ্তদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ গ্রীন গার্ডেন পার্কে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে উল্লেখিত পার্কের রেষ্টুরেন্ট মালিক আক্রামুজ্জামান মুন্না বাদী হয়ে হামলাকারি অয়ন ওসমানের সহযোগি নিহাদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্র জানাগেছে, বন্দর উপজেলার আদমপুর এলাকার মনির হোসেন মিয়ার ছেলে নিহাদসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা দীর্ঘ দিন ধরে গ্রীন গার্ডেন রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেত। টাকা চাইলে সে টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বখাটে সন্ত্রাসী নিহাদ ও বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার দিদার ও রুস্তমপুর এলাকার তুর্জয়সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন নিয়ে পার্কে আসলে ওই সময় পার্কের কর্মকর্তা ১২ জনের পার্কে প্রবেশ ফি চাইলে এতে করে বখাটে নিহাদসহ তার সহযোগিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওই সময় উল্লেখিত বখাটে নাহিদ, দিদার ও তুর্জয়সহ অজ্ঞাত নামা অজ্ঞাত নামা ১০/১২ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী তান্ডব নীলা চালিয়ে পার্ক মালিক ইলিয়াস হোসেন মিন্টুসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানাগেছে, আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে বখাটে নাহিদ অয়ন ওসমানের শেল্টারে বন্দরে হাজীপুর, আদমপুর, কল্যান্দী, নয়ানগর, মুখফুলদী, সাবদী ও হাজরাদী চাঁনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অর্পকম চালিয়ে আসছিল। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটলেও অয়ন ওসমানের দোসর নাহিদের পর্যন্ত পতন এখনো ঘটেনি। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এখনো অব্যহত আছে। অনতি বিলম্বে অয়ন ওসমানের দোসর নাহিদের আমল নামা খতিয়ে দেখাসহ দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।