বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলি করে ফরিদ আহম্মেদ ছৈয়াল হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল,শামীম ওসমান,নজরুল ইসলাম বাবু, কাউছার আহম্মেদ পলাশ সহ ১৮১ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

নিহতের বাবা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ কে মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।

 

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট  বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মিছিল নিয়ে সাইনবোর্ড থেকে গণভবনে যাওয়ার সময় যাত্রাবাড়ী মোড়ে পৌছালে মিছিলের ওপর গুলিবর্ষণ করে আসামীরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় মিছিল অংশ নেওয়া ফরিদ আহম্মেদ ছৈয়াল।  তাকে সহোযোগিরা গুলিবিদ্ধবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরদিন ৬ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।

 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহআলম ছৈয়াল বাদী হয়ে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, ডিবি প্রধান হারুন, বনজ কুমার, শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ, আওয়ামী লীগ ক্যাডার আক্তার, সুমন, রাজ্জাক, রহিম বাদশা, পুরি আনোয়ার সহ ১৮১ জনের নাম উল্লেখ্য  মামলাটি দায়ের করেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ আহম ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ