ফটোসাংবাদিক এম সাদেক পেশাদারত্বের সঙ্গে কখনো আপস করেননি
Published: 22nd, February 2025 GMT
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রথম আলোতে কর্মরত সদ্য প্রয়াত কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক এম সাদেকের স্মরণসভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, গণমাধ্যমে পথচলার শুরু থেকেই এম সাদেক পেশাদারত্বের কাজ করে গেছেন। তিনি পেশাদারত্বের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। চাইলেই অপসাংবাদিকতায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু এম সাদেক পেশাদারত্বের বাইরে কখনোই নিজেকে বিলিয়ে দেননি। তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও সংকট থেকেই বোঝা যায়, পেশাগত জীবনে তিনি কতটা সৎ ছিলেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন নগরের কান্দিরপাড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, খায়রুল আহসান, গোলাম কিবরিয়া, শহিদুল্লাহ, দিলীপ মজুমদার, বাহার রায়হান, ওমর ফারুকী, এম ফিরোজ মিয়া, তাওহীদ হোসেন, আতিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রথম আলোর পক্ষে বক্তব্য দেন কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান ও কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা। প্রয়াত এম সাদেকের পরিবারের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই জামাল হোসেন ও একমাত্র সন্তান কাউসার আহমেদ স্মরণসভায় কথা বলেন। সহকর্মীদের অনেকে ও পরিবারের সদস্যরা এম সাদেকের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এম সাদেক কুমিল্লার ফটোসাংবাদিকতায় অনন্য ছিলেন উল্লেখ করে সহকর্মীরা বলেন, এম সাদেকের তোলা ছবিগুলো কুমিল্লার প্রতিচ্ছবি ছিল। তিনি পারিবারিক জীবন অনেক কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার করেছেন। কিন্তু কখনোই নিজের পেশাকে কলুষিত করেননি তিনি। তিনি শুধু ভালো ছবিই তুলতেন না, তিনি একজন ভালো মানুষও ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, এম সাদেকের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে। এ ছাড়া তাঁর কাজগুলো নিয়ে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
গত সোমবার বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে কুমিল্লা নগরের বেসরকারি একটি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ফটোসাংবাদিক এম সাদেক। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কুমিল্লা শহরতলির গোমতী নদীর পাড়ে চানপুর এলাকায় এম সাদেক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এম সাদেকের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। নগরীর অশোকতলা এলাকার বাসিন্দা এম সাদেক এক ছেলে, স্ত্রী, পুত্রবধূ, নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী-শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুনপ্রথম আলোর কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক এম সাদেক আর নেই১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ ক এম স দ ক স মরণসভ য় এম স দ ক র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।
এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।
মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’
মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে