সিলেটে গ্রামের নদীতে পানি খেতে এসে ধরা পড়ল বিলুপ্তপ্রায় বনছাগল, পরে বনে অবমুক্ত
Published: 22nd, February 2025 GMT
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় লোভাছড়া নদীতে পানি খেতে নামে অপরিচিত একটি প্রাণী। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তাঁরা প্রাণীটিকে ধরতে ধাওয়া দেন। প্রাণীটি কিছুটা দূরে আসামপাড়া নিহালপুর গ্রামের পাশে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন প্রাণীটিকে ধরে ফেলেন। এরপর তাঁরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন। কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাণীটিকে বিলুপ্তপ্রায় বনছাগল বলে নিশ্চিত করেন। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাণীটিকে লোভছড়া বনে অবমুক্ত করেন।
শনিবার সকাল সাতটার দিকে লোভাছড়া নদীতে বনছাগলটির দেখা মেলে। বেলা আড়াইটার দিকে বনে প্রাণীটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় গ্রামবাসীর পাশাপাশি স্থানীয় লোভাছড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ইউসুফ ওসমান, বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো.
লোভাছড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ইউসুফ ওসমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাণীটি পানি খেতে নদীতে নামলে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে ধরেন। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে বনছাগলটিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিয়ে এসে লোভাছড়া বনে অবমুক্ত করেন।
যোগাযোগ করলে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আলী আক্তারুল হক চৌধুরী বলেন, প্রাণীটি বিলুপ্তপ্রায় একটি বনছাগল। একজন ভেটেরিনারি সার্জন দিয়ে প্রাণীটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রাণীটি ঊরুতে কিছুটা আঘাত পেয়েছিল, এ জন্য চিকিৎসাও দেওয়া হয়। সুস্থ অবস্থাতেই প্রাণীটিকে লোভাছড়া চা-বাগানসংলগ্ন গহিন বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় মানুষ ও বন বিভাগের প্রচেষ্টায় বনছাগলটিকে বনে অবমুক্ত করার বিষয়টির প্রশংসা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এখন যেকোনো প্রাণী ধরেই পিটিয়ে মেরে ফেলার একটা অলিখিত রেওয়াজ দেখা যায়। কিন্তু এখানে প্রাণীর প্রতি বিরল ভালোবাসা দেখিয়েছেন মানুষজন। তাঁরা প্রাণীটিকে ধরে বন বিভাগে খবর দিয়েছেন। পরে সবাই মিলে প্রাণীটিকে বনে অবমুক্ত করেছেন, এটা প্রশংসনীয়।’
আবদুল করিম চৌধুরী আরও জানান, কয়েক দশক আগেও সিলেটের বনে প্রচুর পরিমাণে বনছাগলের দেখা মিলত। এখন আর চোখেই পড়ে না। সিলেট অঞ্চলে প্রাণীটি এখন একেবারেই বিলুপ্তপ্রায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
জিআই সনদ পেলো কিশোরগঞ্জের পনির ও রাতাবোরো ধান
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ পেয়েছে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সনদ গ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও পনিরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
হাওরে ধানের বাম্পার ফলন, দাম কমে যাওয়ায় চিন্তায় কৃষক
আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশিষ্ট শিল্পী, অভিনেত্রী ও সঙ্গীত পরিচালক আরমিন মুসা ও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার নাকফজলি আমচাষি সমবায় সমিতির লোকজন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি এ জেলার কৃষি ও খাদ্যশিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এতে স্থানীয় এ দুটি পণ্যের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ঢাকা/রুমন/বকুল